আপের নিশানায় এ বার নজিব জঙ্গ

দিল্লিতে সরকার গড়তে বিজেপির ‘অপচেষ্টা’ ফাঁস করার পরে উপরাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হল আম আদমি পার্টি (আপ)। অন্য দিকে দিল্লি বিধানসভার অচলাবস্থা কাটাতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করতে চাইছে তা আগামী এক মাসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকলেও সম্প্রতি দিল্লির উপরাজ্যপাল নজিব জঙ্গ বিজেপিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে চেয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছাড়পত্র চান। আজ সেই চিঠি প্রকাশ করেছেন কেজরীবাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:১১
Share:

দিল্লিতে সরকার গড়তে বিজেপির ‘অপচেষ্টা’ ফাঁস করার পরে উপরাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হল আম আদমি পার্টি (আপ)। অন্য দিকে দিল্লি বিধানসভার অচলাবস্থা কাটাতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করতে চাইছে তা আগামী এক মাসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকলেও সম্প্রতি দিল্লির উপরাজ্যপাল নজিব জঙ্গ বিজেপিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে চেয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছাড়পত্র চান। আজ সেই চিঠি প্রকাশ করেছেন কেজরীবাল। আপ শিবিরের দাবি, জঙ্গ যে ভাবে বিজেপিকে সুবিধে করে দিতে চাইছেন তা থেকে স্পষ্ট তাঁর সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে। যদিও কেজরীবালদের ওই দাবি উড়িয়ে দিয়ে আজ দিল্লি বিজেপি সভাপতি সতীশ উপাধ্যায় দাবি করেছেন, “দিল্লিতে অচলাবস্থা কাটাতে তৎপর হয়েছেন উপরাজ্যপাল। এর মধ্যে অন্যায় কোথায়!” কেজরীবালের পাল্টা যুক্তি, “বিজেপিকে সরকার বানাতে গেলে অন্য দলের বিধায়কদের সমর্থন জোগাড় করতে হবে। এছাড়া তাদের কাছে অন্য রাস্তা নেই। তাই সরকার গঠন নিয়ে সওয়াল করে উপরাজ্যপাল আসলে বিধায়ক কেনাবেচাকেই প্রশ্রয় দিচ্ছেন। যা অসাংবিধানিক।”

দিল্লির অচলাবস্থা কাটাতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করছে তা এক মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে বিধানসভা জিইয়ে রেখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। তার পর থেকেই বিধানসভা ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে আসছেন আপ নেতৃত্ব। তা নিয়ে মামলাও করেছেন তাঁরা। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পি এস নরসিংহ আজ আদালতকে জানান, দিল্লিতে অচলাবস্থা কাটানো নিয়ে জঙ্গের একটি চিঠি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির কাছে রয়েছে। রাষ্ট্রপতি এখনও এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে এক মাসের মধ্যে কেন্দ্র নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারবে বলে আশা করা যায়। বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, আদালত বিষয়টি দীর্ঘ দিন ফেলে রাখার পক্ষপাতী নয়। ১০ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রকে তাদের অবস্থান জানাতে হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন