মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে প্রসূতির পেটে ওষুধের বদলে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।
সন্তান প্রসবের আগে প্রসূতির পেটে এক ধরনের জেলির মতো ওষুধ লাগানো হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘মেডিক্যাল জেলি’। তার পরিবর্তে মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে ব্যবহার করা হল অ্যাসিড! পুড়ে গেল প্রসূতির তলপেটের চামড়া। সেই অবস্থাতেই সন্তান প্রসব করলেন তিনি। ইতিমধ্যে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হাসপাতালের নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নার্সের দাবি, ভুল করে তিনি অ্যাসিড ব্যবহার করে ফেলেছেন। যেখানে ‘মেডিক্যাল জেলি’ থাকার কথা ছিল, সেখানে অ্যাসিডের বোতল রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনাকে লঘু করে দেখতে রাজি নন জেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রসূতির শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার ভোকারডানের গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। খাপারখেদা গ্রামের বাসিন্দা শীলা ভালেরাওকে সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শুক্রবার প্রসবের জন্য তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ে নার্স তাঁর তলপেটে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ডলে দেন বলে অভিযোগ। যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন তিনি। মুহূর্তে জ্বলে যায় তাঁর তলপেটের ওই অংশের চামড়া। দ্রুত ওষুধ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। ওই অবস্থাতেই সন্তানের জন্ম দেন মহিলা। সন্তান সুস্থ রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট প্রসূতির পরিবার।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সাফাইয়ের কাজে ওই অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। সাফাইকর্মী ভুল করে চিকিৎসার সরঞ্জামের ট্রে-তে অ্যাসিডের বোতলটি রেখে দিয়েছিলেন। নার্স না-দেখেই তা পেটে ডলে দেন। এই ঘটনার পর জেলা সিভিল সার্জেন আরএস পাটিল বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুতর একটা গাফিলতি। বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’