National News

‘পাকিস্তান নরক নয়’ বলায় কন্নড় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা

‘পাকিস্তানপন্থী’ কথা বলায় কন্নড় অভিনেত্রী এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রামিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হল কর্নাটকের আদালতে। ‘পাকিস্তান নরক নয়’—রামিয়ার এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু করে দিয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-সহ সংঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার রামিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা পর্যন্ত ঠুকে দিয়েছেন কে ভিত্তল গৌড়া নামে এক আইনজীবী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ১৩:১৬
Share:

‘পাকিস্তানপন্থী’ কথা বলায় কন্নড় অভিনেত্রী এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রামিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হল কর্নাটকের আদালতে। ‘পাকিস্তান নরক নয়’—রামিয়ার এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু করে দিয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-সহ সংঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার রামিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা পর্যন্ত ঠুকে দিয়েছেন কে ভিত্তল গৌড়া নামে এক আইনজীবী। রামিয়া দেশকে অপমান করেছেন এবং দেশবাসীর মধ্যে পাকিস্তানপন্থী জিগির তুলছেন বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে সোমওয়ারপেটের আদালতে। ২৭ অগস্ট এই মামলার শুনানি হবে।

Advertisement

দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তানে যাওয়া মানে নরকে যাওয়া।’’ সার্কের তরুণ সাংসদদের সম্মেলন উপলক্ষে পাকিস্তান সফর করে আসা রামিয়া এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘পাকিস্তান নরক নয়। ওখানকার মানুষ আমাদের মতোই। তাঁরা আমাদের সঙ্গে খুবই ভাল ব্যাবহার করেন।’’ পাকিস্তানকে ‘দারুণ’ এবং ‘অতিথিপরায়ণ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর পরই রামিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করে এবিভিপি, বিজেপি-সহ বিভিন্ন সংগঠন। যুব ভারত নামে মহীশূরের একটি বিজেপিপন্থী সংগঠন রামিয়াকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার আওয়াজ তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও রামিয়াকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে তুলোধোনা করা শুরু হয়েছে। দাবি উঠেছে, ক্ষমা চাইতে হবে রামিয়াকে।

টুইটারে রামিয়ার মন্তব্য

Advertisement


রামিয়া অবশ্য এই সব সমালোচনা বা মামলা নিয়ে আদৌ বিচলিত নন। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। কেন না, তিনি যা বলেছেন তা কোনও ভাবেই দেশের বিরুদ্ধে যাওয়া নয়।
৩৪ বছর বয়সী এই কন্নড় অভিনেত্রীর আসল নাম দিব্যা স্পন্দন। তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন ২০১১ সালে। ২০১৩ সালে কর্নাটকের মাণ্ড্য লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন। সেই সময় তিনিই ছিলেন দেশের তরুণতম সাংসদ। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে একই কেন্দ্র থেকে লড়ে অবশ্য হেরে যান তিনি।
রামিয়ার বিরুদ্ধে এই দেশদ্রোহিতার মামলায় বেশ চাপেই পড়ে যেতে হল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে। কদিন আগেই কাশ্মীর ইস্যুতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারতীয় শাখার উপর দেশদ্রোহিতার মামলা করে বিতর্কে জড়িয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। এ বার তাঁদের দলেরই প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে মামলা। কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি দিনেশ গুন্ডু রাও অবশ্য রামিয়ার পাশেই দাঁড়িয়েছেন। রাও বলেন, “সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে গিয়ে ওর যে অভিজ্ঞতা হয়েছে ও তাই বলেছে। এটা কোনও বিতর্কিত কথা নয়”।

আরও পড়ুন, বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে কংগ্রেস

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন