Kuno National Park

কুনোর জঙ্গলে নামিবিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা! মোদীর আনা চার চিতার লড়াইয়ে আহত এক

কুনোর জঙ্গলে নামিবিয়া থেকে আনা দু’টি চিতা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা দু’টি চিতার সঙ্গে। বনকর্মীরা সাইরেন বাজিয়ে, পটকা ফাটিয়েও মারামারি থামাতে ব্যর্থ হন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ১১:০০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কুনোর জঙ্গলে যেন ‘আফ্রিকান নেশনস কাপ’! মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকার দু’দেশ, নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা চিতার ঠাঁই হয়েছে। এ বার নামিবিয়ার দু’টি চিতার সঙ্গে লড়াই বেধে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা দু’টি চিতার। শেষ পর্যন্ত একটি চিতাকে ঘুমপাড়ানি গুলি মারেন বনকর্তারা। আহত চিতাটি এখন ভাল আছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে খবর, নামিবিয়া থেকে গৌরব এবং শৌর্য নামে দু’টি চিতাকে আনা হয় কুনোয়। তার পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় অগ্নি এবং বায়ু নামে আরও দু’টি চিতা। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে চিতাগুলি। চলে কামড়াকামড়ি, আঁচড়। বনকর্তারা প্রাথমিক ভাবে সাইরেন বাজিয়ে এবং পটকা ফাটিয়ে মারামারি থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নিজেদের মধ্যে মারামারিতে ব্যস্ত চিতাগুলি তাতে ভ্রুক্ষেপও করেনি। তার পরেই বনকর্তারা ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কুনোর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার পিকে বর্মা জানিয়েছেন, অগ্নি নামে চিতাটির গায়ে ঘুমপাড়ানি গুলি লাগে। এখন চিতাটি ভাল আছে। বন আধিকারিক জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে এ ভাবে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়া চিতাদের মধ্যে অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। মারামারিতে অগ্নির শরীরে কোনও আঘাত লেগেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে পাঁচটি মহিলা চিতা এবং তিনটি পুরুষ চিতা আনা হয়েছিল। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিতাগুলিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কুনোর জঙ্গলে ছেড়েছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হয়। সেগুলিকেও কুনোর জঙ্গলেই ছাড়া হয়। তার মধ্যে গত মার্চ থেকে ছ’টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে কুনোতেই জন্ম নেওয়া চারটি চিতাশাবকের তিনটি শাবকেরই মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন