অরুণাচলে ১২ জেলায় আফস্পা

লোকসভা নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পরই অরুণাচল সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান, আফস্পা প্রত্যাহার আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। এ বার রিজিজুর অরুণাচল সফর চলাকালীনই কেন্দ্র জানাল— রাজ্যের ১৯টি জেলার মধ্যে ১২টিকেই ওই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০০
Share:

লোকসভা নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পরই অরুণাচল সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান, আফস্পা প্রত্যাহার আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। এ বার রিজিজুর অরুণাচল সফর চলাকালীনই কেন্দ্র জানাল— রাজ্যের ১৯টি জেলার মধ্যে ১২টিকেই ওই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হল। রিজিজু জানালেন, সংঘর্ষ বিরতিতে থাকা, না থাকা কোনও জঙ্গি দলের নাশকতা বরদাস্ত করবে না কেন্দ্র। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, নিরাপত্তাবাহিনী নয়, রাজ্যের সুরক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় মানুষকেই নিতে হবে। সীমান্তের বাসিন্দারা সজাগ হলেই দেশ নিরাপদ হবে।

Advertisement

উত্তর-পূর্বে মণিপুরের পাশাপাশি অসমেও আফস্পা বলবত্ রয়েছে। অরুণাচলের তিরাপ, চাংলাং ও লংডিং জেলাতে ওই আইন রয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাওয়াং, আপার সুবনসিড়ি, কুরুং কামে, ক্রা দাদি, দিবাং ভ্যালি, আপার সিয়াং ও আনজাও ছাড়া রাজ্যের বাকি ১২টি জেলায় আফস্পা জারি হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিনা বিচারে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। জঙ্গি সন্দেহে কাউকে খুন করা হলেও, মিলবে আইনি রক্ষাকবচ। কেন্দ্রের বক্তব্য— অরুণাচলের ওই সব জেলায় আলফা স্বাধীন, এনডিএফবি সংবিজিত্ বাহিনী, কেএলও, এমপিএলএফ, পিএলএ, কেওয়াইকেএল, কেসিপি, ইউএনএলএফ ও এনএসসিএন-খাপলাং, আই-এম বাহিনী রয়েছে। অরুণাচল হয়ে মায়ানমারে চলছে মাদক ও অস্ত্রের চোরাচালান। কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি ভাঙার পর, অরুণাচলে সক্রিয় হয়েছে খাপলাং।

রিজিজু বলেন, ‘‘রাজ্যে কোনও জঙ্গি দলের নাশকতা বরদাস্ত করা হবে না। সংঘর্ষ বিরতির সুযোগ নিয়ে অপহরণ, তোলাবাজি, হামলা রুখবে প্রশাসন। নতুন করে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করা হবে না।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, বতর্মানে যে সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে, তা দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের মধ্যস্থতাকারী আর এন রবিকে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন