দেশের অন্য জায়গার মতোই এ রাজ্যেও দোকান থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে ম্যাগির প্যাকেট। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
ইঙ্গিত মিলেছিল কালই। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, শুধু ম্যাগি নয়, এ বার অন্য বিভিন্ন সংস্থার চটজলদি নুডল, পাস্তা বা ম্যাকারনি জাতীয় পণ্যেরও গুণমান পরীক্ষা করে দেখা হবে। সেইমতো আজ কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা নিয়ামক সংস্থা ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দিয়েছে, নেসলে ছাড়াও সারা দেশে আইটিসি এবং গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন-সহ আরও সাত সংস্থার নুডল, ম্যাকারনি এবং পাস্তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ম্যাগির মতোই গুণমানের পরীক্ষা দিতে হবে টপ র্যামন, ওয়াই ওয়াই, ইয়ামি, ফুডলস, ইন্দো নিসিন ফুড লিমিটেড, সিজি ফুডস, রুচি ইন্টারন্যাশনালের মতো ৩২টি ব্র্যান্ডের নুডল্সকে। আর যে সব চটজলদি খাবারের ব্র্যান্ড ‘পণ্য অনুমোদন’ ছাড়াই বেআইনি ভাবে বাজারে বিকোচ্ছে, তাদের পণ্যও বাজার থেকে অবিলম্বে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এফএসএসএআই।
খাদ্য সুরক্ষা নিয়ামক সংস্থাটির বক্তব্য, ম্যাগি এবং এই ধরনের অন্য ব্র্যান্ডের উপরে নানা রকম পরীক্ষা চালানোর পরে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই এই সব খাবার বিক্রি হচ্ছে। তাই বাকি সব চটজলদি খাবার পরীক্ষা করে দেখার কথা ভেবেছে এফএসএসএআই।
এই সংস্থার সিইও যুধবীর সিংহ মালিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে সব ব্র্যান্ড বেআইনি ভাবে পণ্য বিক্রি করছে, সেগুলি বাজার থেকে সরিয়ে নষ্ট করে ফেলতে হবে। রাজ্যগুলি এই সব পণ্য পরীক্ষা করে এফএসএসএআই-কে রিপোর্ট পাঠাবে ১৯ জুনের মধ্যে।
তবে এই ধরনের চটজলদি খাবারের প্রচার করেন যে সেলিব্রিটিরা, তাঁদের উদ্দেশে আজ মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। তিনি বলেছেন, বিজ্ঞাপনে সেলিব্রিটিরা যেন রং চড়িয়ে কিছু না বলেন। দুর্নীতি-মুক্ত ভারতের মতোই ভেজাল-মুক্ত ভারত গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য।