শিবসেনা জোট ছাড়ার হুমকি দিতেই উদ্ধব ঠাকরের দলে ফাটল ধরানোর কাজে নামল বিজেপি। যার জেরে আজ শিবসেনার জনা পঁচিশ বিধায়ক দলের নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, জোট ছাড়ার পক্ষে নন তাঁরা।
পেট্রোল-ডিজেলের দামবৃদ্ধি, কৃষকদের দুরবস্থা, বেকারি ইত্যাদি সমস্যাকে সামনে রেখে গতকালই শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে আসার হুমকি দিয়েছিল। দশমীর পরে এ বিষয়ে ঘোষণা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি প্রকাশ্যে তেমন কিছু না বললেও তলে তলে শিবসেনার দলেই ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে।
শিবসেনার ৬৩ জনের মধ্যে জনা ২৫ বিধায়ক দলের নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এখনই ভোটের জন্য প্রস্তুত নন। সরকার থেকে বেরিয়ে আসারও পক্ষপাতী নন। বিজেপির মতে, এর পরেও শিবসেনা জোট ছাড়লে বিকল্প পথ আছে। ছোট ছোট দলগুলির সমর্থনেও সরকার টিকিয়ে রাখা যায়। আর শরদ পওয়ারের দল তো তাদের নজরে রয়েইছে।
এরই মধ্যে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ জানিয়েছে, এর মধ্যে কিছু নেতার যোগসাজশও ধরা পড়েছে। সূত্রের মতে, তার মধ্যে এনসিপির নেতারাও আছেন। বিরোধীদের মতে, সবই বিজেপির চাপের রাজনীতি। যাতে উদ্ধব জোট ছাড়লে এনসিপি-কে কাছে টানা কঠিন না হয়।
আবার শিবসেনার দিক থেকে এর আগেও অনেক বার জোট ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই তা ফাঁপা হুমকি হয়ে থেকে গিয়েছে। যদিও দলের দাবি, এ বারের হুমকিতে ওজন আছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীস আলোচনায় বসতে চাইছেন উদ্ধবের সঙ্গে। সেখানেই উদ্ধব জোট ছাড়ার কথা জানিয়ে আসবেন। কংগ্রেসের নারায়ণ রাণেকে যে ভাবে বিজেপিতে আনার তোড়জোড় চলছে, তাতেও খেপে রয়েছেন উদ্ধব। এক সময় উদ্ধবের প্রতি বালাসাহেবের ‘অন্ধ’ স্নেহের বিরোধিতা করেই শিবসেনা থেকে বেরিয়েছিলেন রাণে। এখন বিজেপিতে গিয়ে রাণে মন্ত্রী হলে উদ্ধবের অস্বস্তি বাড়বে।