ভারতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত।
কাশ্মীরের উরিতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা মঙ্গলবার অস্বীকার করেছিল ইসলামাবাদ। আর আজ, বুধবার দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবদুল বাসিতকে ডেকে পাঠিয়ে ওই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কতটা তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তার সবিস্তার একটা তালিকা তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। বাসিতকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, জঙ্গিরা যাতে পাক ভূখণ্ডকে ব্যবহার না করতে পারে, সে ব্যাপারে ২০০৪ সালে ইসলামাবাদ কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর সেই কথা রাখার ব্যাপারে ইসলামাবাদ যে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে, সে কথাও স্পষ্ট করেই পাক হাইকমিশনারকে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব। এর পরিণতি যে সুখকর হবে না, পাক হাইকমিশনারকে সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপের টুইট
পরে বিদেশমন্ত্রকের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উরির হামলার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিরা যে সব অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছিল আর তারা যে সব খাবারের প্যাকেট, জামাকাপড় ও ওষুধবিষুধ সঙ্গে এনেছিল, তাতে পাকিস্তানের ছাপ রয়েছে। ফলে, এই ঘটনায় পাকিস্তানের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। পঠানকোটে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে জঙ্গি হানার ঘটনা থেকে শুরু করে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসেই ১৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনাগুলিতে হয় জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছে। নয়তো ভারতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। পাক হাইকমিশনারকে এ কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, জঙ্গি-সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ ভারত এই প্রথম ইসলামাবাদের হাতে তুলে দিচ্ছে না। এর আগেও চলতি বছরে আরও এক বার, পঠানকোট কাণ্ডের তথ্যপ্রমাণও ইসলামাবাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পঠানকোটের ঘটনার পর পাকিস্তান থেকে একটি তদন্তকারী দল এসেছিল ভারতে। সেই দলের হাতে তথ্যপ্রমাণ তুলে দেওয়ার পরেও তারা পরে পঠানকোট কাণ্ডে পাক-ভূমিকার প্রমাণ তাকার কথা অস্বীকার করেছিল।
দিল্লির সাউথ ব্লকে ক্যাবিনেট সচিবালয়ে ঢুকছেন পাক হাইকমিশনার। বুধবার।
উরির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার রক্ষা পরিষদের সভাতেও পাকিস্তানের উদ্দেশে এ দিন কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র ঘোষণা করতে বিল মার্কিন কংগ্রেসে