ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির জেরে ফের বিতর্ক শুরু হয়ে গেল আফজল গুরুর দেহাবশেষ নিয়ে।
মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুবের দেহ ফাঁসির পরে মুম্বইয়ে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংসদ হামলায় দায়ী আফজলের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এমনকী তৎকালীন ইউপিএ সরকার জম্মু-কাশ্মীরে আফজলের পরিবারকে ঠিক সময়ে খবর দেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। জম্মু-কাশ্মীর সরকারকেও ঠিক মতো খবর দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
আফজলের দেহ দিল্লির তিহাড় জেলেই কবর দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর দেহাবশেষ কাশ্মীরে ফেরাতে আফজলের পরিবারের পাশাপাশি তৎপর সে রাজ্যের নেতারাও। ইয়াকুবের শেষকৃত্যের পরে ওমরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স, রাজ্যের বর্তমান শাসক পিডিপি এমনকী কংগ্রেসও আফজলের দেহাবশেষ নিয়ে ফের সরব হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র আগা সৈয়দ রুহউল্লা মেহদির মতে, ‘‘আফজল ও ইয়াকুবের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য কাশ্মীরের মানুষের প্রতি বৈষম্যেরই প্রমাণ দিচ্ছে।’’ প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ ও পিডিপি মুখপাত্র মেহবুব বেগের মুখেও। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় বিজেপি।
ইয়াকুবের স্ত্রী রাহিনের জন্য রাজ্যসভার টিকিট চেয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির মহারাষ্ট্র শাখার নেতা মহম্মদ ফারুক ঘোসি। ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির পরে ঘোসি মুলায়ম সিংহ যাদবকে একটি চিঠি লেখেন। তাতেই তিনি জানান, রাহিন নিজেও অনেক দিন ধরে জেলে ছিলেন। তিনি এখন অসহায়। ঘোসির কথায়, ‘‘দেশে অনেক মুসলিমেরই রাহিনের মতো অসহায় অবস্থা। আমার মতে, তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা উচিত।’’ বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকেও জানান ঘোসি। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি, শিবসেনা ও কংগ্রেস। তার পরেই ঘোসিকে সাসপেন্ড বলে ঘোষণা করা হয় সমাজবাদী পার্টির তরফে।