দলিত ছাত্র খুনে উত্তাল ইলাহাবাদ

মারামারির গোটা ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও তুলে রেখেছিলেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেন। তার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়় ওঠে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইলাহাবাদ শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

দলিত ছাত্র দিলীপ সরোজের মৃত্যুকে ঘিরে আজ দিনভর উত্তপ্ত থাকল ইলাহাবাদ। বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-স্লোগানের পাশাপাশি পুড়ল বাসও। ওই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে যোগী সরকারকে আজ এক হাত নিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীও।

Advertisement

গত শুক্রবার ইলাহাবাদের কাটরা বাজার এলাকায় একটি রেস্তরাঁর সিঁড়িতে বসেছিলেন বছর ছাব্বিশের দিলীপ ও তাঁর কয়েক জন বন্ধু। ওই সময় রেস্তরাঁয় ঢুকছিলেন বিজয় শঙ্কর নামে এক ব্যক্তি। তিনি রেলের টিটিই। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দিলীপের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি। অভিযোগ, লোহার রড, ইট দিয়ে আঘাত করা হয় দিলীপকে। এক সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ওই ছাত্র। রেস্তরাঁরই এক কর্মী তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। কিন্তু দু’দিন কোমায় থাকার পরে কাল ভোর রাতে মৃত্যু হয় দিলীপের।

মারামারির গোটা ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও তুলে রেখেছিলেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেন। তার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়় ওঠে। দোষীদের ধরার দাবিতে চাপ বাড়তে থাকে পুলিশের উপর। মুখ খেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। দোষীদের দ্রুত ধরার জন্য পুলিশকে নির্দেশও দেন তিনি। পুলিশ আগেই মুন্না সিংহ চৌহান নামে এক রেস্তরাঁ কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের দাবি, মুন্না দিলীপের মাথায় রড দিয়ে মারার পরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গত কাল এই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী বিজয় শঙ্করও গ্রেফতার হয়। কিন্তু তার পরেও আজ বিক্ষোভ কমেনি। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ইলাহাবাদ শহরের তেলিয়ারগঞ্জ এলাকায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি যাত্রিবাহী বাস। কর্নেলগঞ্জ থানার সামনে জমা হন এক দল বিক্ষোভকারী। জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত যায় মিছিল। মাঠে নেমেছেন দলিত নেত্রী মায়াবতীও। আজ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকারের সমালোচনা করেন বসপা প্রধান। বলেন, ‘‘দলিত ছাত্রের নৃশংস ভাবে খুন হওয়া এ রাজ্যে মোটেও কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন