হায়দরাবাদে করাচি বেকারির সামনে বিক্ষোভ, ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহে হায়দরাবাদে করাচি বেকারির একটি শাখায় আবার ভাঙচুর চালানো হয়েছে। অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা গত শনিবার হায়দরাবাদের শামশাবদের করাচি বেকারির সামনে বিক্ষোভ দেখান। ওই সংস্থার নাম পরিবর্তনের দাবি জানান তাঁরা। তার পরেই দোকানটিতে ভাঙচুর করা হয়। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই।
তেলঙ্গানা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ করাচি বেকারির সামনে বিক্ষোভ হয়। সেখানে জড়ো হয়ে নাম বদলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন কিছু মানুষ। তাঁরা নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক বলে জানিয়েছে পুলিশ। হায়দরাবাদের আরজিআই এয়ারপোর্ট থানার ইনস্পেক্টর কে বলরাজু বলেন, ‘‘বেকারির কোনও কর্মচারী আহত হননি। গুরুতর কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবরও নেই। আমরা বিক্ষোভের খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলাম। নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক ওই বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের আমরা বুঝিয়ে বেকারির সামনে থেকে সরিয়ে দিই।’’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের করাচি শহরের নামে বেকারির নামকরণ হলেও এটি ভারতীয় সংস্থা। এই বেকারি চালায় একটি ভারতীয় পরিবার, যারা দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিল। ১৯৫৩ সালে হায়দরাবাদের মোজ়ামজহি মার্কেটে করাচি বেকারি প্রতিষ্ঠিত হয়। ধীরে ধীরে ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করেছে সংস্থাটি। বর্তমানে হায়দরাবাদ ছাড়াও দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ে করাচি বেকারির শাখা রয়েছে। শুধু হায়দরাবাদেই রয়েছে এই বেকারির ২৪টি শাখা।
এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে রোষের মুখে পড়েছিল করাচি বেকারি। গত সপ্তাহেই বানজারা হিল্সের শাখায় বেকারির নাম পরিবর্তনের দাবিতে ভাঙচুর করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। বেকারির ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমরা ভারতীয় সংস্থা। আমাদের এ ভাবে পাকিস্তানি বলে দেগে দেওয়া যায় না।’’ উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। গত ৬ মে ঘোষণা করা হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, যার অধীনে পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। শনিবার দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে সমঝোতা হয়েছে।