Lalu Prasad Yadav

Lalu Prasad Yadav: এমস থেকে ছাড়া হল লালুপ্রসাদকে, তবে শারীরিক পরীক্ষার জন্য থাকবেন পর্যবেক্ষণে

ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লালুকে পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁকে। গত ১১ মার্চ জামিনের আবেদন করেছিলেন লালু। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন ১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ১৭:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

দিল্লির এমস থেকে ছাড়া পেলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। সূত্রের খবর, লালুকে সুস্থ ঘোষণা করেছে হাসপাতাল। এবং তাঁকে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস) ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ এমসে নিয়ে আসা হয় লালুকে। তার পর তাঁকে আপৎকালীন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁকে ‘সুস্থ’ বলে ঘোষণা করা হয়। এবং রাত সওয়া ৩টে নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ওই সূত্রের দাবি, হাসপাতাল ছেড়ে দিলেও বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্য পর্যবেক্ষণে থাকবেন লালু।

Advertisement

লালুপুত্র তেজস্বী যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আবার বলেছেন, “এমসে চিকিৎসা চলছে লালুপ্রসাদের। রাঁচীতে থাকাকালীন তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ছিল ৪.৫। দিল্লিতে যখন ফের ক্রিয়েটিনিনের পরীক্ষা করানো হয়, তখন দেখা যায় তার মাত্রা বেড়ে হয়েছে ৫.১। তৃতীয় বার পরীক্ষা করানোর পর দেখা যায় ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পৌঁছেছে ৫.৯। সুতরাং এর থেকে স্পষ্ট যে লালুপ্রসাদের সংক্রমণ বাড়ছে।”

অন্য দিকে, আরডেজি-র এক প্রবীণ বিধায়কের দাবি, তাঁদের নেতাকে অসুস্থ অবস্থায় এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাপের মুখে পড়ে লালুপ্রসাদকে ছেড়ে দেন। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই অভিযোগ তুলেছেন আরজেডি বিধায়ক। শুধু তাই নয়, লালুকে যে সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে, সেই সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আরজেডি।

Advertisement

ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লালুকে পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁকে। গত ১১ মার্চ জামিনের আবেদন করেছিলেন লালু। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন ১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে পশুখাদ্য সংক্রান্ত দুমকা, দেওঘর এবং চাইবাসা ট্রেজারির চারটি তহবিল তছরুপ মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল লালুকে। অবশ্য শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিনে ছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন