মুঙ্গেরে ফের উদ্ধার ১২টি একে-৪৭

এক সঙ্গে বিহার থেকে এতগুলি একে সিরিজের অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এর আগে তিন দফায় মোট আটটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ফের মুঙ্গের থেকে উদ্ধার হল ১২টি একে-৪৭ রাইফেল। এর আগে এক সঙ্গে বিহার থেকে এতগুলি একে সিরিজের অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এর আগে তিন দফায় মোট আটটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মুফস্বল থানার বরদহ গ্রামের একটি কুয়ো থেকে এই ১২টি অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার বাবুরাম বলেন, ‘‘সমস্ত অস্ত্রই জব্বলপুরের সেনা অস্ত্র ডিপো থেকে পাচার করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।’’ ঘটনার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিতে চাইছে বিহার পুলিশ।

Advertisement

সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে অস্ত্র পাচারকারী তনভির আলমকে গ্রেফতারের পরেই এই ১২টি রাইফেলের কথা পুলিশ জানতে পারে। ধৃতকে নিয়েই রাতভর অভিযান চালিয়ে কুয়োর ভিতরে থাকা দু’টি বস্তা তুলে নিয়ে আসা হয়। গত ৩০ অগস্ট জামালপুর স্টেশনের বাইরে থেকে পুলিশ ফাঁদ পেতে গ্রেফতার করে মহম্মদ ইমরানকে। তার কাছ থেকে তিনটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়। ইমরানকে জেরা করে মহম্মদ শামশেরের খোঁজ পায় পুলিশ। তাকে ও ইমরানের বোন রিজওয়ানাকে জেরা করে আরও তিনটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়। পরে আরও দু’টি। শামশেরেরই ভাইপো তনভির।

উল্লেখ্য, ইমরান ও শামশেরকে জেরা করেই জব্বলপুর থেকে সেনা অস্ত্র ভাণ্ডারের প্রাক্তন আধিকারিক পুরুষোত্তম রজক, তার ছেলে শৈলেন্দ্র রজক এবং বর্তমান কর্মী সুরেশ ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রী চন্দ্রাবতীকে নিয়ে জব্বলপুর থেকে একে ৪৭ রাইফেল ডেলিভারি দিতে মুঙ্গেরে আসত পুরুষোত্তম। তাকে জেরা করেই গ্রেফতার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরার অ্যামুনেশন ডিপো থেকে প্রাক্তন সেনাকর্মী নিয়াজুর রহমানকে। নিয়াজুর ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে ঠিকাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিল।

Advertisement

২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত জব্বলপুর সেনা অস্ত্র ভাণ্ডার থেকে প্রায় ৭০টি একে ৪৭ রাইফেল গায়েব হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রথমে পুরুষোত্তম প্রথম দিকে একটি একে ৪৭ রাইফেল আট থেকে দশ লক্ষ টাকায় বিক্রি করলেও পরে দাম কমিয়ে পাঁচ লক্ষ করে দেয়। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ এবং তেলেঙ্গানা পুলিশ ইতিমধ্যেই মুঙ্গেরে এসে ধৃতদের জেরা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাদেশেও এই চক্র সক্রিয় ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন