অখিলেশ যদি তাঁকে ঠকাতে পারে, তা হলে শিবপালকে সরিয়ে দেওয়াটা কোনও আশ্চর্যজনক ঘটনা নয়। শনিবার অখিলেশের বিরুদ্ধে এই ভাবেই তোপ দাগলেন মুলায়ম সিংহ যাদব। ফলে ফের প্রকাশ্যে এল বাবা, ছেলের ঝগড়া।
এ দিন মেইনপুরীতে দলীয় কর্মীদের এক সভায় সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদব বলেন, “অখিলেশ আমাকেই ঠকিয়েছে। তা হলে ও যে শিবপালকে বরখাস্ত করল, তাতে আপনারা কেন এত অবাক হচ্ছেন?”
এ বারের নির্বাচনে বিজেপির কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর অখিলেশের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুলায়মপন্থীরা। কংগ্রসের সঙ্গে জোট বাঁধার জন্যই দলকে হারের মুখ দেখতে হল বলে মনে করছেন তাঁরা। আর তার জন্য শুধু অখিলশেকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছিঃ, গোয়ার মানুষের কাছে ক্ষমা চান! পর্রীকরকে জবাব দিগ্বিজয়ের
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের মুখে সমাজবাদী পার্টির অন্তর্কলহের কথা কারও অজানা নয়। এক দিকে মুলায়ম-শিবপাল, অন্য দিকে অখিলেশ-রামগোপাল দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যায় সমাজবাদী পার্টি। যে ভাবে অখিলেশ-মুলায়ম বিরোধ চরমে ওঠে, তাতে আখেরে লাভ হয় বিজেপির। সপা’র অন্তর্দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করেই উত্তরপ্রদেশে নিজেদের খুঁটি শক্ত করে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হোক, চাইছিলেন না নেতাজি। অন্য দিকে, নেতাজির না চাওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়েন অখিলেশ। পছন্দের প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া নিয়েও বাবা, ছেলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। তারই মধ্যে শিবপাল যাদবকে বরখাস্ত করায় বিরোধ আরও চরমে ওঠে।
নির্বাচনের দু’-এক দিন আগে অবশ্য সাময়িক ভাবে দলের অন্তর্কলহ কিছুটা ধামাচাপা পড়ে। নির্বাচন শেষ হতেই তা আবার সামনে চলে এল। দলের শোচনীয় হারের জন্য অখিলেশকেই পরোক্ষে দায়ী করলেন মুলায়ম।