উনিশের ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে আটকাতে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে একাই প্রচার শুরু করছেন অখিলেশ যাদব।
লোকসভা ভোটে জোট গড়ার জন্য এত দিন ধরে মায়াবতীর প্রতি ইতিবাচক বার্তা দিয়ে গিয়েছেন অখিলেশ। তবে সম্প্রতি বিএসপি নেত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপ হতাশ করেছে তাঁকে। অখিলেশ ঠিক করেছেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখে তবেই জোট নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন। সমাজবাদী পার্টি সূত্রের খবর, সময় নষ্ট না করে প্রচার অভিযান শুরু করে দিতে চান মুলায়ম-পুত্র। বিষয়টি নিয়ে রাহুল গাঁধীর সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
২৬ তারিখ পিতৃপক্ষ শুরু হচ্ছে। ওই দিন শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক সেরে সমাজবাদী পার্টি কিছু আসনে একক ভাবে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে ৩৯টি আসনে জিতেছিল সমাজবাদী পার্টি। স্থির হয়েছে, সেই হিসেবকে ধরেই প্রচারের কাজ শুরু হবে। আসনগুলিতে যাঁরা জিতেছিলেন, তাঁদের বলা হবে নিজেদের কেন্দ্রে বিজেপি-বিরোধী প্রচার শুরু করে দিতে। ভবিষ্যতে মায়াবতী জোটে রাজি হলেও ওই আসনগুলি নিজেদের কাছেই রাখতে চান অখিলেশ।
পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়েও কথা বলছে সমাজবাদী পার্টি। মধ্যপ্রদেশে কিছু আসনে প্রার্থী দেবে অখিলেশের দল। কিন্তু সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চাইছে তারা। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে লোকসভা ভোটের জন্য জোট আর বাকি রাজ্যগুলিতে আমাদের নিজেদের মধ্যে লড়াই হলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। কংগ্রেসকে এ কথা জানানো হয়েছে।’’
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে মায়াবাতীর সঙ্গে জোট গড়তে এগিয়ে গিয়েও ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। ছত্তীসগঢ়ে অজিত জোগীর নতুন ফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়েছেন বিএসপি নেত্রী। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি কমলনাথ জানিয়েছিলেন, দশ দিনের মধ্যেই মায়ার সঙ্গে সমঝোতা হবে। দশ দিন প্রায় অতিক্রান্ত। ফলে বিএসপিকে বাদ দিয়েই এগোনোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কংগ্রেস।