Al Falah University

মৃত ব্যক্তিদের নামে ভুয়ো নথি বানিয়ে কয়েক কোটির জমি জবরদখল! আল ফালাহে্‌র প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রের খবর, জবরদখল করা ওই জমি তারবিয়া এডুকেশন ফাউন্ডেশনের নামে নথিভুক্ত করানো হয়। ঘটনাচক্রে, ওই প্রতিষ্ঠানটি সিদ্দিকির।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৩
Share:

আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।

আরও বিপাকে আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তথা আচার্য জাভেদ জাওয়াদ সিদ্দিকি। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার জমি হাতিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানানোর অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। দিল্লির মদনপুর খাদারে মৃত ব্যক্তিদের জমি হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুয়ো নথি বানিয়ে সেই জমি জবরদখল করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

Advertisement

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রের খবর, জবরদখল করা ওই জমি তারবিয়া এ়ুকেশন ফাউন্ডেশনের নামে নথিভুক্ত করানো হয়। ঘটনাচক্রে, ওই প্রতিষ্ঠানটি সিদ্দিকির। তদন্তকারী সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে, যে সব জমির মালিকের জমি হাতানো হয়েছে, তাঁরা ১৯৭২ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে মারা গিয়েছেন। ২০০৪ সালে নতুন নথি তৈরি করিয়ে সেই জমিগুলি তারবিয়া ফাউন্ডেশনের নামে করানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই তল্লাশি অভিযান চলছে সেখানে। তল্লাশি অভিযানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা রকম দুর্নীতি এবং প্রতিষ্ঠাতার আর্থিক প্রতারণা এবং সন্দেহজনক কাজকর্মের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পরই সিদ্দিকিকে গত ১৮ নভেম্বর গ্রেফতার করে ইডি। তাঁকে আর্থিক প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

তদন্তকারী সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদীদের তহবিল জোগানের মতো গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ১৩ জনের। আহত বহু। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা কোনও না কোনও ভাবে জড়িত ছিলেন আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে।

সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখার দু’টি এফআইআরের ভিত্তিতেই ইডি তদন্ত শুরু করে। প্রথমটিতে অভিযোগ করা হয়, আল-ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাক (ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিশন কাউন্সিল)-এর স্বীকৃতি ছাড়াই তাদের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আল-ফালাহ্‌ কর্তৃপক্ষ তাঁদের ওয়েবসাইটে ন্যাক-স্বীকৃতির মিথ্যা দাবি করেছেন। ইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল-ফালাহ্‌ গ্রুপের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে তল্লাশি অভিযানের সময় সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণ এবং তার বিশদ বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে সিদ্দিকিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement