সৈয়দ মহম্মদ জিশান। —নিজস্ব চিত্র
জামশেদপুরের জাকিরনগরের সাদা রংয়ের একতলা বাড়ির সামনে সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে। প্রতিবেশী বাড়ির লাজুক, ধর্মপ্রাণ সৈয়দ মহম্মদ জিশান যে আল কায়দা জঙ্গি তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তাঁরা। কালই দিল্লিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
তাঁর ছেলে যে আল কায়দা জঙ্গি তা বিশ্বাস করতে পারছেন না বাবা, সৈয়দ হায়দার আলিও। টাটা স্টিলের প্রাক্তন কর্মী হায়দর আলি। বাড়ির সামনের জটলা দেখে তিনি একবার বাইরে এসে শুধু বললেন, ‘‘ এ সব কিছুই জানি না। আমার ছেলে সৌদি আরবে চাকরি করতে চলে গিয়েছিল সাত আট বছর আগে। জামশেদপুরের বাড়িতে আর ফেরেনি। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, জিশান ও তার ভাই আসিয়ান হায়দার ২০০৮ সালে পড়াশোনা করতে বেঙ্গালুরু যায়। সেখানে বছর দু’এক থেকে তারা চাকরি সূত্রে সৌদি আরবে যায়। জিশানের প্রতিবেশী এক বন্ধু বলেন, ‘‘ও যখন বেঙ্গালুরুতে ছিল তখন মাঝেমধ্যে ফোনে যোগাযোগ হতো।’’
এর আগে ওড়িশা থেকে ধরা হয় আব্দুল রহমান কটকি। তাকে জেরা করে ২০১৬-তে করা ধরা হয় আব্দুল সামি, রজ্জাক ও নাসিমকে। তারা জামশেদপুরেরই ছেলে। এ বার জিশান। কটকি ও সামিকে জেরা করেই জিশানের সন্ধান পান তাঁরা। আসিয়ান সম্পর্কেও খোঁজ চলছে।