আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে, ক্যাম্পাসে, ক্যান্টিনে মাংস মিলছে না। বলা ভাল, মাংসের খরা চলছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। আগে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ম করে প্রতিদিনই অন্তত একবেলা মাংস খেত দেওয়া হত। দিনে না হলে রাতে। অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করার ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ফতোয়া জারির পর মাংস-বিক্রেতারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে দিয়েছেন, তার ফলে, মাংসের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তার বদলে রোজ পাতে মাছ আর মুরগির মাংস বা শাকসব্জি দেওয়া হচ্ছে বটে, কিন্তু তা ছাত্রছাত্রীদের মুখে রুচছে না। শুধু তাই নয়, এর ফলে তাঁদের খাওয়ার খরচও বেড়ে গিয়েছে।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ফইজুল হাসান বলেছেন, ‘‘মেনু বদলে যাওয়ার ফলে ছাত্রছাত্রীদের খাওয়ার খরচও হুট করে বেড়ে গিয়েছে। তার ফলে যাঁরা আসছেন অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ঘর থেকে, সেই সব ছাত্রছাত্রী পড়ে যাচ্ছেন খুব অসুবিধায়। সরকারি ফতোয়ার ফলে দোকানে দোকানে মুরগির মাংসের দাম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০ টাকা হয়ে গিয়েছে। দাম বেড়ে গিয়েছে আনাজপাতি, শাকসব্জিরও। এ ব্যাপারে আমরা চিঠি দিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জামিরুদ্দিন শাহকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও একটি স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ভাবছি।’’
উপাচার্যকে দেওয়া ছাত্রছাত্রীদের চিঠি
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিকর্তা ওমর পিরজাদা বলেছেন, ‘‘এটা আসলে প্রয়োজন আর জোগানের সমস্যা। না পেলে আমরা কী করতে পারি?’’
আরও পড়ুন- ট্যাক্সির চেয়ে কম ভাড়ায় মহাকাশ ঘোরানোর কথা ভাবছে ইসরো