অখিলেশ সন্দিহান হলেও রাহুল প্রত্যয়ী। —ফাইল চিত্র।
বুথফেরত সমীক্ষার ফল মিলবে না। উত্তরপ্রদেশে জয়ী হবে সপা-কংগ্রেস জোটই। বললেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার প্রায় সবক’টি বুথফেরত সমীক্ষাই ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যে বিজেপির জয়ের আভাস দিয়েছে। সে প্রসঙ্গে বিজেপি, সপা, বিএসপি-সহ প্রায় সব দলই মুখ খুললেও কংগ্রেস নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেনি। শুক্রবার মুখ খুললেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দৃষ্টান্ত মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, সব বুথফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে সে বারও বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল মহাজোট। এ বারও তেমনই হবে।
‘‘আমাদের জোটই জিতছে। বিহারেও আমরা এই রকম বুথফেরত সমীক্ষাই দেখেছিলাম। যা বলার কালকে বলব।’’ শুক্রবার এ কথাই বলেছেন রাহুল গাঁধী। উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গাঁধীই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসুস্থ সনিয়া গাঁধী এখনও দলের সভানেত্রী পদে থাকলেও, প্রচারাভিযান থেকে দূরেই ছিলেন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও সে ভাবে ময়দানে নামেননি। শুধু প্রচারাভিযান নয়, গত কয়েক মাসে কংগ্রেসের রণকৌশলগত সিদ্ধান্তও মূলত রাহুলই নিয়েছেন। এই নির্বাচনের ফল তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে রাহুল গাঁধীর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পক্ষে।
শনিবার সন্ধ্যাতেও কংগ্রেস সমর্থকদের এই উচ্ছ্বাস বহাল থাকবে, মনে করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। —ফাইল চিত্র।
বুথফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হতেই রাহুলের জোটসঙ্গী অখিলেশ যাদবের সুর কিন্তু বদলে গিয়েছে। তিনি এত দিন বার বার বলছিলেন, মায়াবতীর হাত কিছুতেই ধরবেন না। কিন্তু বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজেপির ক্ষমতায় আসা রুখতে কেউ তাঁর কাছে অচ্ছুৎ নন। অখিলেশের এ হেন মন্তব্যের পর থেকে রাজনৈতিক শিবির বলছে, গরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নন অখিলেশ যাদব। তাই মায়াবতীর হাত ধরার পথ খোলা রাখছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ডে বদলের ইঙ্গিত
রাহুল গাঁধী কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। অন্য কারও হাত ধরার কথা তিনি এখনও বলেননি। বছর দু’য়েক আগে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে লালু-নীতীশ-কংগ্রেসের জোট যে ভাবে ধরাশায়ী করে দিয়েছিল বিজেপিকে, সে ভাবেই উত্তরপ্রদেশেও গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি হবে। কংগ্রেস সহ-সভাপতি এমনই মনে করছেন।