সমাবেশ: কৃষক সমর্থনে আপ নেতারা। শনিবার নয়াদিল্লির কিষাণ ঘাটে। ছবি: পিটিআই।
কৃষকেরা আগামী কাল থেকে আন্দালনে নামছে ‘রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর মহাসঙ্ঘে’র ব্যানারে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানেরর ঘোর বিরোধী শিবকুমার শর্মা। শিবরাজকে আক্রমণ করছেন বটে, কিন্তু তাঁরও নিশানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, মোদীকে ভোট দিয়ে কৃষকেরা ভুল করেছেন। শিবকুমারের কথায়, ‘‘এক হি ভুল, কমল কি ফুল।’’ যে কারণে গোটা দেশেই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চাইছেন শিবকুমাররা।
দিল্লিতে কৃষক সংগঠনগুলির বৈঠকে স্থির হয়েছে, ১৬ জুন দেশের সব জাতীয় সড়ক দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত অবরোধ হবে। সরকারের টনক তাতেও না নড়লে ১৯ জুন ফের বৈঠক করে পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে। কিন্তু আন্দোলন হবে গাঁধীর পথে। অহিংস। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজকে বরখাস্ত করার দাবি তোলা হয়। ‘শিল্পপতিদের সরকার’ চালানোর জন্য ভৎর্সনা করা হয় ‘কৃষক-বিরোধী’ নরেন্দ্র মোদীর।
কৃষক-দুর্দশার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও দুষছে মোদীকেই। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ারও আজ মোদী সরকারকে ‘কৃষক-বিরোধী’ অ্যাখ্যা দেন। যুব কংগ্রেস এ দিন ভুবনেশ্বরে মোদী সরকারের কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহের গাড়িতে ডিম ছোড়ে। কালো পতাকা দেখায় তাঁকে। মুখ খুলেছেন মায়াবতীও। তাঁর বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশে ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষকদের কথা না ভেবে সস্তা জনপ্রিয়তা লুটতেই ব্যস্ত।
স্বাভাবিক ভাবেই আক্রমণের মুখে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও। তাঁর অনশনে বসা নিয়ে আজ দিনভর তীব্র আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, শিবরাজেরই বলা উচিত তিনি নাটক (নৌটঙ্কি) করছেন, নাকি কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনায় অনশন করছেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এমনও বলেন, ‘‘ভান ছেড়ে রাজনৈতিক নির্বাসনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হোন শিবরাজ।’’ মন্দসৌরে কৃষকদের মৃত্যু নিয়ে এখনও কেন খুনের মামলা দায়ের হলো না সেই কফৈয়তও দাবি করে কংগ্রেস। ছাড়ছে না এনডিএ-র শরিক শিবসেনাও। তাদের বক্তব্য, ভোপালে অনশনে বসে না থেকে শিবরাজের উচিত ছিল মন্দসৌরে গিয়ে চাষিদের সান্ত্বনা দেওয়া।