—প্রতীকী চিত্র।
ধর্মান্তরণ ছাড়া আর্য সমাজ মন্দিরে ভিন্ ধর্মের পাত্রপাত্রীর মধ্যে বিয়ে অবৈধ বলে রায় দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে আর্য সমাজ মন্দিরে আইন না মেনে বিয়ের শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে তদন্ত করতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
সোনু ওরফে শাহনুর নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা খারিজের আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। মহারাজগঞ্জ জেলায় নীচলাউল থানায় দায়ের হয়েছিল অপহরণ, ধর্ষণ ও পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় এফআইআর। আবেদনে তার আইনজীবীরা দাবি করেন, তাঁদের মক্কেল আর্য সমাজ মন্দিরে ওই মেয়েটিকে (বর্তমানে সাবালিকা) বিয়ে করে।
কিন্তু ওই ব্যক্তির আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি প্রশান্ত কুমার। তিনি জানিয়েছেন, নাবালিকাকে বিয়ের শংসাপত্র দিয়ে আইন ভেঙেছে আর্য সমাজ মন্দির।
বিচারপতির মতে, আর্য সমাজ মন্দিরের মতো অনেক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে বিয়ের শংসাপত্র দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই নাবালক-নাবালিকা বা ভিন্ ধর্মের দম্পতিকে উপযুক্ত আইনি পদ্ধতি না মেনেই শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন।
আর্য সমাজ হিন্দু ধর্মের মধ্যেই একটি সংস্কারপন্থী আন্দোলন। তারা বৈদিক রীতি মেনে সহজে বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিপুল ধর্মীয় আচার না মেনে পবিত্র অগ্নি ও মন্ত্রপাঠের উপরে জোর দেওয়া হয়। সাধারণত বিয়ে হয় আর্য সমাজ মন্দিরে। দ্রুত কম খরচেই সারা যায় বিয়ে। ২১ বছর বা তার বেশি বয়সি হিন্দু পুরুষ এবং ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি হিন্দু নারী এই বিয়ে করতে পারেন। ভিন্ন ভিন্ন জাত ও ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের নারী-পুরুষের বিয়েতে আর্য সমাজের আপত্তি নেই। তবে ভিন্ন ধর্মের নারী বা পুরুষকে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। শুদ্ধি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যেরা আর্য সমাজ মন্দিরে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে পারেন। ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইনে এই বিয়েকে স্বীকৃতিদেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে