চার দলিত মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য? মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সরকারের কাছে এই জবাবই চাইল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে দ্রুত জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এম কে গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি ২১ মে।
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ঘটনা। দলিত ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল বাড়ির মেয়ে। সেই রোষে রবিবার চার দলিত মহিলাকে নগ্ন করে প্রকাশ্য রাস্তায় হাঁটানোর অভিযোগ ওঠে মেয়েটির পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে এসে যোগ দেয় গ্রামবাসীরাও। ওই চার দলিত মহিলাকে মারধরও করে তারা।
আক্রান্ত মহিলারা অভিযোগ করেন, রবিবার সকালে হঠাৎ ওই মেয়েটির বাড়ির লোক তাঁদের উপর চড়াও হয়। নগ্ন করে টানতে টানতে তাঁদের বের করে আনা হয় বাড়ি থেকে। এর পর গ্রামের একটি চায়ের দোকানে এনে আটকে রাখা হয় চার মহিলাকে। এখানেই না থেমে হাইওয়ের উপর নগ্ন অবস্থাতেই হাঁটানো হয় তাঁদের। সকাল থেকে দীর্ঘ সময় ধরে এই অত্যাচার চললেও পুলিশের তরফ থেকে কোনও বাধা আসেনি বলেও অভিযোগ করেন আক্রান্তরা। জালালাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা মেয়েটির বাবা সর্বেশ কুমার কাশ্যপ-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
যদিও সর্বেশ কুমারের অভিযোগ, সন্তোষ নামের ওই পলাতক যুবক তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। বুধবার বিকেলে মায়ের সঙ্গে খেতে গিয়েছিল তার মেয়ে। সেই সময় সন্তোষ একটি মোটরবাইকে করে এসে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সর্বেশ বলেছেন, ‘‘মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে ছেলেটির বাড়িতে যাই আমরা। কিন্তু অনেক বুঝিয়েও ফল হয়নি। তখন দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হলেও নগ্ন করে ঘোরানোর অভিযোগ ঠিক নয়।’’
পুলিশ জানায়, সন্তোষ দলিত এবং মেয়েটি কাশ্যপ বর্ণের। উত্তরপ্রদেশে যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং বিত্তশালী হিসাবে খ্যাতি রয়েছে এই কাশ্যপদের। ফলে বর্ণবিদ্বেষই ক্ষোভের উৎস কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা এও জানিয়েছে, দলিত মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে ১৫ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।