অমিত শাহ
শোহরাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী তুলসীরাম প্রজাপতি হত্যার পিছনে আদালতে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে অমিত শাহের নাম নিয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসার সন্দীপ তামগাড়ে। অবসরপ্রাপ্ত ওই আইপিএস অফিসার আদালতকে জানান, তদন্তে দেখা যায় ওই হত্যার পিছনে মূল ষড়যন্ত্র ছিল অমিত শাহ, গুজরাত পুলিশের প্রাক্তন ডিজি বানজারা ও রাজস্থান পুলিশের আইপিএস অফিসার এম এন দীনেশের। যদিও প্রমাণের অভাবে ইতিমধ্যেই অমিত শাহ ও ওই পুলিশ অফিসারদের ওই মামলা থেকে খালাস করে দিয়েছে আদালত।
কিন্তু সন্দীপের বয়ানে অমিত শাহের নাম উঠে আসায় বিজেপি শিবিরকে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়েননি রাহুল। আজ তিনি বলেন, ‘‘গীতা বলেছে সত্য থেকে পালানো অসম্ভব। বরাবর তাই হয়ে এসেছে। সন্দীপ তামাগাড়ে আদালতে প্রধান চক্রী হিসাবে অমিত শাহের নাম নিয়েছেন। অমিত শাহ বিজেপির মতো দলের সভাপতি হওয়ারই যোগ্য।’’ দলের সভাপতিকে আক্রমণ শানাতেই পাল্টা সমালোচনায় নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
রাহুলকে ‘মিথ্যা বলার মেশিন’ বলে মন্তব্য করে স্মৃতির টুইট, ‘রাহুল গাঁধী ফের স্বমহিমায়। রাহুল খুব ভাল করেই জানেন যে ২০১৪ সালে আদালত অমিত শাহকে অভিযোগ থেকে মুক্ত করে দেয়। আদালত এ-ও জানায়, রাজনৈতিক কারণেই অমিতভাইকে ফাঁসানো হয়েছিল। ইউপিএ সরকারের কার নির্দেশে সে সময়ে রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে নিশানা বানানো হয়েছিল তা বরং খোলসা করুক রাহুল।’’