ছিনতাই করেছে পুলিশ, দাবি ব্যবসায়ীর

রক্ষকই নাকি ভক্ষক! পাথারকান্দি থানার তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। মাদক সামগ্রী খাইয়ে লক্ষাধিক টাকা লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪১
Share:

রক্ষকই নাকি ভক্ষক!

Advertisement

পাথারকান্দি থানার তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। মাদক সামগ্রী খাইয়ে লক্ষাধিক টাকা লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর। জয়দীপ পাল, সাহেদ আহমেদ, সিরাজউদ্দিন নামে ওই তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ঘিরে কিছুটা হলেও বিব্রত পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শিলচরের সুপারি ব্যবসায়ী সমীর দেবের ব্যবসা ভাল চলছিল না। সমীরবাবুর দাবি, কয়েক দিন আগে জমি বিক্রি করে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি ত্রিপুরা যাচ্ছিলেন। ব্যবসার সূত্রে পাথারকান্দির বারইগ্রামের অজিত দাসের সঙ্গে সমীরবাবুর পরিচয় ছিল। টাকা নিয়ে ত্রিপুরায় যাওয়ার সময় পাথারকান্দির একটি হোটেলে অজিতবাবুর সঙ্গে সমীরবাবুর দেখা হয়। অভিযোগ, পাথারকান্দির ওই বাসিন্দা তিন পুলিশকর্মীকে ডেকে নিয়ে এসেছিলেন। শীতল পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় সামগ্রী খাইয়ে সমীরবাবুকে বেহুঁশ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর টাকা নিয়ে পালায় সকলে। সমীরবাবুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বারইগ্রামে অজিতবাবুর বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে, উল্টে সমীরবাবুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন সমীরবাবু। পাথারকান্দি থানার তিন পুলিশকর্মী-সহ অজিতবাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত কাল থেকেই বিষয়টির শুরু হয়েছে। সমীরবাবুকে সত্যিই ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল কি না, তা দেখা হবে। টাকা নিয়ে কেন তিনি অজিতবাবুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, কেনই বা সেখানে তিন পুলিশকর্মীকে ডাকা হল, সে সব প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

ধৃত বাংলাদেশি। করিমগঞ্জ জেলার পুতনিবাগানে ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম ফারুক মিঁঞা। বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে। পুলিশ তাকে জেরা করে জেনেছে, করিমগঞ্জের লাঠিটিলা সীমান্ত অতিক্রম করে ফারুক ভারতে ঢুকেছে। কী কারণে তিনি এ দেশে এসেছেন তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন