লিজ নিয়ে গন্ডগোল বৃদ্ধাকে মারের নালিশ

সিকিম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাংটকে হোটেল রয়েছে সুবাস লামার। তাঁর থেকেই হোটেলটি লিজে নিয়েছিলেন মুক্তি চৌধুরী দত্ত। তিনি কলকাতার রাজারহাটের বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ০১:৪২
Share:

হোটেলের লিজের দেনা-পাওনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গোলমাল চলছিল দুই পক্ষের মধ্যে। তার জেরেই এক বৃদ্ধাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার দুপুরে সিকিমের গ্যাংটকের ঘটনা।

Advertisement

সিকিম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাংটকে হোটেল রয়েছে সুবাস লামার। তাঁর থেকেই হোটেলটি লিজে নিয়েছিলেন মুক্তি চৌধুরী দত্ত। তিনি কলকাতার রাজারহাটের বাসিন্দা। লিজের টাকা ঘিরে সুবাস লামার সঙ্গে মুক্তিদেবীর বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছে। তার জেরেই মুক্তিদেবীর বৃদ্ধা মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সুবাস ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৮-তে গ্যাংটকের দেওরালি এলাকার ওই হোটেল লিজে নেন মুক্তি চৌধুরী দত্ত। হোটেল ভবনের মালিক সুবাস লামার সঙ্গে তাঁর তিন বছরের চুক্তি হয়। প্রতি বছর তাঁকে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা মুক্তিদেবীর। ইতিমধ্যে
সুবাসকে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রথমে হোটেল ঠিকঠাক চললেও গত সেপ্টেম্বর থেকে দু’পক্ষের গোলমাল শুরু হয়।

Advertisement

মুক্তিদেবীর অভিযোগ, তিন বছরের লিজের টাকা একেবারে দিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি শুরু করেন সুবাস। এর মাঝে হোটেলের জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের বিল নিয়ে গোলমালের জেরে কাটা যায় হোটেলের বিদ্যুতের লাইনও।

মুক্তিদেবী বলেন, ‘‘এই ঝামেলার জন্য আমি এপ্রিল থেকে হোটেল বন্ধ করে রেখেছিলাম। এরমধ্যে আমার মা মিত্রাদেবী সেখানে গিয়ে ছিলেন। এখন ওরা দাদাগিরি শুরু করেছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এ দিন সুবাস লামা দলবল নিয়ে এসে মাকে হোটেলের ঘর থেকে মারধর করে বের করে দেয়। বৃষ্টিতে ভিজে মা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। সুবাস লামার সঙ্গে ওঁর স্ত্রীও ছিলেন। পুলিশ ই-মেল করে অভিযোগ জানাই। প্রথমে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। পরে থানায় মাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি আইনের পথে লড়াই করব।’’

শুক্রবার রাতেই মুক্তিদেবী সমস্ত ঘটনা ই-মেল করে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। হোটেলের ভবনের মালিক সুবাস লামা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি সবটা শোনার পরে লাইন কেটে দেন। এসএমএস করা হলেও তিনি তার উত্তর দিন।

সিকিম পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন