Ragging of Student

হাতে, উরুতে, পেটে গরম ইস্ত্রির ছেঁকা! অন্ধ্রপ্রদেশের হস্টেলে দশম শ্রেণির ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

জেলা শিক্ষা আধিকারিক বাসুদের রাও জানিয়েছেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই প্রশাসনের কাছে একটি রিপোর্ট জমা পড়বে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৫ ১৫:২৩
Share:

অন্ধ্রপ্রদেশে দশম শ্রেণির ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।

দশম শ্রেণির ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল অন্ধ্রপ্রদেশের এক স্কুলের হস্টেলে। ছাত্রের হাতে, উরুতে, পেটে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তেরা তারই দুই সহপাঠী। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী অমরাবতী থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে উপকূলবর্তী জেলা কোনাসীমার মোরামপুদি শহরে।

Advertisement

অন্ধ্রপ্রদেশের ওই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, ঘটনার পরে প্রায় এক সপ্তাহ বিষয়টি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি। তবে জেলা শিক্ষা আধিকারিক বাসুদের রাও ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই প্রশাসনের কাছে একটি রিপোর্ট জমা পড়বে।

ঘটনার সূত্রপাত হস্টেলের একটি সিসি ক্যামেরা চুরিকে কেন্দ্র করে। গত ১৬ অগস্ট হস্টেল থেকে একটি ক্যামেরা চুরি যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, চুরি যাওয়া ওই সিসি ক্যামেরাটি পরে আক্রান্ত ছাত্রের ব্যাগ থেকে পাওয়া যায়। তার দাবি, অন্য দুই ছাত্র ওই ক্যামেরা চুরি করেছিল। পরে সেই ক্যামেরাটি তার ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে দাবি ছাত্রের। আক্রান্ত পড়ুয়ার দাবি, সে কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিল সে। অভিযোগ, এর পরে গত ১৮ অগস্ট হস্টেলের ঘরে ছাত্রের উপর চড়াও হয় অপর দুই পড়ুয়া। সেখানে তাকে গরম ইস্ত্রির ছেঁকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

অভিযোগ উঠছে, আক্রান্ত পড়ুয়ার শরীরে ছেঁকার দাগ দেখার পরেও কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি। পরে ওই ছাত্রের মা হস্টেলে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ছেঁকার দাগ দেখে পড়ুয়াকে তার মা প্রশ্ন করতেই গোটা ঘটনার কথা বলে দেয় সে। এর পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন আক্রান্ত ছাত্রের মা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement