দুর্ঘটনার পর পোর্শে গাড়িটি।
আর পাঁচটা দিনের মতোই অটোর ভিতর ঘুমাচ্ছিলেন সুন্দর। চেন্নাইয়ের ক্যাথেড্রাল রোডের ফুটপাথের এক ধারে দাঁড় করানো ছিল তাঁর অটো। হঠাৎই ব্রেক কষার একটা বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। কিছু বোঝার আগেই বুকে অসহ্য যন্ত্রণা। বাকিটা অন্ধকার! জ্ঞান ফিরলে দেখেন, তিনি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে।
তখনই মনে পড়ে, তিনি তো একা ছিলেন না। তাঁর মতো অনেকেই তো ও রকম অটোর ভিতর ঘুমোচ্ছিলেন! তাঁদের কী হল? জানতে পারেন, অরুমুগম নামে তাঁর এক পরিচিত বেঁচে নেই। গুরুতর জখম আরও নয় অটোচালক। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ একটি পোর্শা গাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে অন্তত ১২টা অটো। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে পুলিশ ওই পোর্শার চালক বিকাশ বিজয়ানন্দকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ঘটনার সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাইশ বছরের বিকাশ। পাশেই বসেছিলেন তাঁর বন্ধু চরণ।
আরও পড়ুন
নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাল্টা হামলার চিন্তা নয়াদিল্লির
রবিবার তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ জয় উদ্যাপনে পার্টি দিয়েছিল তুতি প্যাট্রিয়ট ক্রিকেট টিম। চরণের সঙ্গে সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিজয় আনন্দের ছেলে কলেজ পড়ুয়া বিকাশ। পার্টিতে খাওয়াদাওয়া করে সেখান থেকে নীল রঙের পোর্শাতে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা দু’জন। পুলিশের দাবি, ঘটনার সময় দু’জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ক্যাথেড্রাল রোডের ধারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথের পাশে সার বেঁধে দাঁড় করানো অটোগুলিকে প্রথমে ধাক্কা মারেন বিকাশ। এর পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টানা ১২টা অটোকে ধাক্কা মারতে মারতে যায় সেটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিরুত্তানির বাসিন্দা পেশায় অটোচালক অরুমুগম (৩০)। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দশ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই পোর্শাতে এয়ারব্যাগ থাকায় বেঁচে গিয়েছেন ওই দুই ছাত্র। তবে অটোগুলির মতোই দুমড়ে গিয়েছে পোর্শা গাড়িটি।
ঘটনায় আহত সুন্দর বলেন, “একটা ব্রেক কষার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলাম, ব্যস! আমার বুকে ভীষণ ব্যথা করতে থাকল। তার পর আর কিছু মনে নেই। পুলিশ আসার পরই জানতে পারলাম কী হয়েছিল।”
আরও পড়ুন