—প্রতীকী ছবি।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে ‘হাত’ এবং ‘ঝাড়ু’ কাছাকাছি আসবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বেড়েই চলেছে।
দু’দলের সমঝোতার ইঙ্গিত নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, তার মধ্যেই আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল রবিবার এক সভায় কংগ্রেসকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানালেন। সোমবারই পঞ্জাবে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ জানালেন, তাঁর রাজ্যে ‘অস্তিত্বহীন’ আপের সঙ্গে জোটের প্রয়োজনই নেই। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে বিভিন্ন রাজ্যে বন্ধু খুঁজছে কংগ্রেস। সেই সূত্রেই দিল্লিতেও আপের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর দল নির্বাচনী বোঝাপড়ায় যেতে পারে বলে গত কয়েক মাস ধরে জল্পনা বাড়ছে। সেই জল্পনা আরও জোরদার হয় কট্টর আপ-বিরোধী অজয় মাকেনের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফার পর। কিন্তু সুর কাটল রবিবার আপের একটি সভায়। সেখানে কেজরীবাল বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করা। ভোট ভাগ করবেন না। সাতটি আসনেই আপকে ভোট দিন।’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আপ প্রধানের ওই মন্তব্য নেহাতই কংগ্রেসের উপর চাপ তৈরির কৌশল। সম্প্রতি আপের প্রবীণ নেতা গোপাল রাই বলেছিলেন, দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় আপ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দলের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি আগামী ১৫ জানুয়ারির পর জোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
আপ-প্রধানের ওই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই সোমবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন অমরেন্দ্র। সাক্ষাতের পরে তিনি বলেন, ‘‘পঞ্জাবে এ বার আপের কোনও অস্তিত্ব নেই। তবে জাতীয় স্বার্থে বা কৌশলগত কারণে আপ বা অন্য কারও সঙ্গে যদি হাইকম্যান্ড জোটের সিদ্ধান্ত নেন, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস তা মেনে চলবে।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বিজেপিকে রুখতে আপ এবং কংগ্রেস কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু পরস্পরের প্রতি বৈরী মনোভাব যে রয়ে গিয়েছে, তা কেজরীবাল এবং অমরেন্দ্রর বক্তব্যেই পরিষ্কার। যদিও অনেকে মনে করছেন, বেশি আসনে লড়তে দু’দলই এখন চাপের রাজনীতির পথে হাঁটছে।