সিভিসির রিপোর্টে বর্মা বেকসুর নন

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, এস কে কউল এবং কে এম জোসেফের বেঞ্চ অলোক বর্মার আইনজীবী ফলি নরিম্যানকে সোমবার বেলা একটার মধ্যে এই রিপোর্টের জবাব দিতে বলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০২:২০
Share:

অলোক বর্মা।

সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) রিপোর্টে ক্লিনচিট পেলেন না ছুটিতে পাঠানো সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা। তবে রায় দেওয়ার আগে তাঁর বক্তব্য শুনতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

বর্মার বিরুদ্ধে ছুটিতে পাঠানো সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার তোলা অভিযোগের তদন্ত করছিল সিভিসি। সুপ্রিম কোর্টের এক প্রাক্তন বিচারপতির নজরদারিতে। গত সোমবার বন্ধ খামে তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। আজ শুনানির শুরুতেই শীর্ষ আদালত জানায়, রিপোর্টটি চার ভাগে বিভক্ত। বর্মার বিরুদ্ধে তোলা কিছু অভিযোগ অনেকটাই তাঁর পক্ষে গিয়েছে, কিছুটা অতটা পক্ষে যায়নি, কিছু একেবারেই বিপক্ষে গিয়েছে, আর কিছুর আরও তদন্ত প্রয়োজন। যার অর্থ, অলোক বর্মাকে ক্লিনচিট দেয়নি সিভিসি।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, এস কে কউল এবং কে এম জোসেফের বেঞ্চ অলোক বর্মার আইনজীবী ফলি নরিম্যানকে সোমবার বেলা একটার মধ্যে এই রিপোর্টের জবাব দিতে বলে। যার ভিত্তিতে মঙ্গলবার পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এবং সিভিসি-র আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটার আর্জিতে সাড়া দিয়ে তাঁদেরও রিপোর্টের কপি দেওয়া হয়।

Advertisement

রাকেশ আস্থানার আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, তাঁর মক্কেলের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তদন্ত হয়েছে। তিনিই প্রথম বর্মার বিরুদ্ধে ক্যাবিনেট সচিবের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তাই তাঁকেও রিপোর্টের কপি দেওয়া হোক। সেই আর্জি খারিজ করে প্রধান বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কোন এক্তিয়ারে আস্থানা নালিশ করেছিলেন?

সুপ্রিম কোর্ট আজ অলোক বর্মা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সলিসিটর জেনারেলকে রিপোর্ট দিলেও সিভিসি ও প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে রিপোর্টের গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অমিত শাহ তিন দিন আগেই বলেছিলেন, শুক্রবার আদালতেই সব স্পষ্ট হবে। এক বিজেপি নেতা আজ বলেন, ‘‘সিভিসি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তার উপরে প্রাক্তন বিচারপতি এ কে পট্টনায়েকের নজরদারি ছিল। তিনিও পৃথক রিপোর্ট দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট সে জন্য পট্টনায়েকের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে। রিপোর্টে বর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, আদালতকে তার ভিত্তিতে রায় দিতে হবে।’’

‘কমন কজ’-এর পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের কার্যনির্বাহী প্রধান নাগেশ্বর রাওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়— সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কিন্তু আদালত বলে, এই অভিযোগের পক্ষে কোনও তথ্য পেশ হয়নি। যদিও মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের বক্তব্য শোনার পথও খোলা রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন