অমরনাথ যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা কর্মীরা।। ছবি: পিটিআই।
আজ থেকে শুরু হলো অমরনাথ যাত্রা। আগামী ৪০ দিন ধরে পহেলগাম এবং বালতালের বেস ক্যাম্প থেকে যে যাত্রায় সামিল হতে চলেছেন প্রায় দু’লক্ষাধিক মানুষ। আগামী ছ’সপ্তাহ অঘটন ছাড়াই কাটবে, এই আশাতে বুক বাঁধছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গোটা যাত্রাপথে পুলিশ-আধাসেনা মিলিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার জওয়ান। রাস্তায় থাকছে সিসিটিভি, জ্যামার, ডগ স্কোয়াড। রাস্তার দু’ধারে তৈরি করা হয়েছে বুলেট প্রুফ বাঙ্কার। তৈরি থাকছে উদ্ধারকারী দল। হেলিকপ্টার তো থাকছেই, এমনকী ড্রোন, উপগ্রহের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে গোটা যাত্রাপথে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা জানাচ্ছেন, এ বারের ব্যবস্থা কার্যত অভূতপূর্ব। আবহাওয়া ও জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় আগেভাগেই ৮ দিন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অমরনাথ যাত্রার মেয়াদ। তা সত্ত্বেও হামলার আশঙ্কা যাচ্ছে না। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, যাত্রীর ছদ্মবেশে এক বা দু’জন জঙ্গি ছোট দলে ভাগ হয়ে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে। ভোরের দিকে যাত্রীদের থাকার জায়গায় ওই হামলা হতে পারে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: জুলাই থেকেই নয়া হারে ভাতা
কাশ্মীরে গত দু’বছরে নিরাপত্তারক্ষীদের উপরে পাথর ছুড়ে হাত পাকিয়েছে রাজ্যের যুবকদের একাংশ। অমরনাথ যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন বাসে ওই যুবকেরা হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে গোয়েন্দাদের।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪ হাজার ফুট উঁচুতে থাকা অমরনাথ গুহায় পৌঁছাতে মূলত রাস্তাই সম্বল। গোয়েন্দাদের দাবি, ধসপ্রবণ সরু ওই রাস্তায় পাহাড়ের উপর থেকে পাথর
ফেলে হেঁটে যাওয়া যাত্রীদের উপরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গিদের। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই অন্তত ১৮-২০ জন জঙ্গিকে যাত্রীদের উপরে হামলা চালানোর দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এক স্বরাষ্ট্র কর্তার কথায়, ‘‘কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে এমনিতেই সরব পাকিস্তান। এ বার অমরনাথ
যাত্রা ভেস্তে দিতে পারলে ফের সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা
সামনে আসবে। ফলে মুখ পুড়বে ভারতের। তাই যাত্রা ভেস্তে দিতে মরিয়া জঙ্গিরা।’’
ফলে আশঙ্কার চোরাস্রোত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অন্দরমহলেও।