মোদীর বিকল্প নেই! মানতে নারাজ, সময়ে নেতা উঠে আসবেন, মত অমর্ত্যের

উদ্যমও আছে। হতে পারে তিনিই উঠে এলেন। আবার অন্য কোনও নেতাও উঠে আসতে পারেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০৩:২৬
Share:

অমর্ত্য সেন। —ফাইল চিত্র।

আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প নেই, এ কথা মানতে নারাজ অমর্ত্য সেন। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের কথায়, ‘‘সঙ্কটের সময়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতা উঠে আসার ঐতিহ্য রয়েছে এই মহান দেশের। কারও কোনও বিকল্প নেই, এই ধারণা ঠিক নয়।’’ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীই কি সেই নেতা? এই প্রশ্নের উত্তরে অমর্ত্য বলেন, ‘‘রাহুলই বিকল্প কিনা, তা বলা যায় না। তবে রাহুলের প্রতিভা রয়েছে। উদ্যমও আছে। হতে পারে তিনিই উঠে এলেন। আবার অন্য কোনও নেতাও উঠে আসতে পারেন।’’

Advertisement

মানবাধিকার পরিস্থিতি, সংখ্যালঘু ও দলিত নির্যাতনের মতো বিষয়গুলি তুলে মোদীর বিরুদ্ধে সরব অমর্ত্য। বিজেপি নেতারা, এমনকি স্বয়‌ং প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে তাঁকে আক্রমণ করেছেন। সম্প্রতি মোদী জমানায় নানা ‘সাফল্য’ তুলে ধরে নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমার বলেন, অমর্ত্য দেশে বিশেষ থাকেন না বলেই সরকারের জনমুখী কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত নন। একটি সংবাদ চ্যানেলে এ দিন রাজীব কুমারের মুখোমুখি হয়ে অমর্ত্য বলেন, বছরের বেশ কিছু সময় তিনি শান্তিনিকেতনেই কাটান। দেশের খবরাখবরও রাখেন। রাজীব কুমার উন্নয়নের যে সব সরকারি পরিসংখ্যান দিচ্ছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের অনেক ফারাক। মৌলিক নাগরিক সুবিধার সূচকগুলিতে তাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশও ভারতকে পেছনে ফেলেছে। আর বিদ্যুৎ বণ্টন বা ১০০ দিনের কাজের মতো যে সব বিষয়ে এই সরকার সাফল্য দাবি করছে, তা আসলে আগের সরকারগুলির কাজের ধারাবাহিকতা।

অমর্ত্য স্পষ্টই বলেন, এই সরকারের আমলে সংখ্যালঘু ও দলিতরা সন্ত্রস্ত। পিটিয়ে মারার ঘটনার বাড়বাড়ন্তে প্রমাণ হয়েছে, গণতন্ত্রের জায়গা নিচ্ছে জনতাতন্ত্র (মবোক্র্যাসি)। শিল্প-সংস্কৃতির স্বাধীনতাও খর্ব করা হচ্ছে। অমর্ত্যের কথায়, এই সব নিয়ে অর্থবহ উন্নয়ন হয় না। তবে জানালেন, তিনি হতাশ নন। কেন না, সঙ্কট পার হওয়ার অভিজ্ঞতা এ দেশের মানুষের রয়েছে। মানুষই পথ খুঁজে নেবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement