১৩ ঘণ্টার রাস্তা ৭ ঘণ্টায় পেরিয়ে বাঁচল শিশুর প্রাণ

সপ্তাহের শুরু থেকে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল ফতিমা লাবিয়া নামে ওই শিশুটির। কুন্নুরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন, যত তাড়াতাড়ি তার হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রোপচার করতে হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২৭
Share:

১৩ ঘণ্টার রাস্তা সাত ঘণ্টায় পেরিয়ে কেরলে প্রাণ বাঁচল বছর খানেকের একটি শিশুর।

Advertisement

সপ্তাহের শুরু থেকে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল ফতিমা লাবিয়া নামে ওই শিশুটির। কুন্নুরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন, যত তাড়াতাড়ি তার হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তার জন্য শিশুটিকে বুধবারই তিরুঅনন্তপুরমের একটি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

আরও পড়ুন: ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে এ বার অবরুদ্ধ চিতোরগড় দুর্গ!

Advertisement

কিন্তু বাচ্চাটির অবস্থা এত খারাপ ছিল, যে তাকে ওই হাসপাতালে কী করে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটাই ছিল বড় চিন্তা। প্রথমে ফতিমাকে বিমানে তিরুঅনন্তপুরম নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কারণ কুন্নুর থেকে সবচেয়ে কাছের ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরই ৩ ঘণ্টার পথ। বিমানের আয়োজনে লাগবে আরও অন্তত ৫ ঘণ্টা। সিদ্ধান্ত হয়, সড়ক পথেই শিশুটিকে তিরুঅনন্তপুরমে নিয়ে যাওয়া হবে। যানজট না থাকলে কুন্নুর থেকে তিরুঅনন্তপুরম ৫১৬ কিলোমিটার পেরোতে লাগে ১৩ ঘণ্টা। কিন্তু কেরল পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ওই রাস্তা পেরোনো সম্ভব হয় মাত্র ৭ ঘণ্টায়। যে অ্যাম্বুল্যান্সে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তার চালক থামিমেরও প্রশংসা করে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন