কংগ্রেসকে তির অমিতের

রাঁচী থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে লাতেহারে আজ অমিতের সভায় উঠে এসেছে রাম মন্দির প্রসঙ্গ। তাঁর অভিযোগ, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ আটকাতে চেয়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাতেহার শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৬
Share:

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।—ছবি পিটিআই।

ঝাড়খণ্ডে ভোট প্রচারে গিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর এই দু’টি বিষয় নিয়েই কংগ্রেসকে নিশানা করলেন তিনি।

Advertisement

রাঁচী থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে লাতেহারে আজ অমিতের সভায় উঠে এসেছে রাম মন্দির প্রসঙ্গ। তাঁর অভিযোগ, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ আটকাতে চেয়েছে কংগ্রেস। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনারাই বলুন, অযোধ্যায় রাম মন্দির হওয়া উচিত কি উচিত নয়? কংগ্রেস অযোধ্যা মামলার নিয়মিত শুনানি করতে দেয়নি। এখন রাম মন্দির তৈরির জন্য সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে।’’ অযোধ্যার জমি বিবাদের মামলা প্রায় ছয় দশক ধরে আদালতে চলছিল। সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ৪০ দিন টানা শুনানির পরে অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ে তোলার জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে। অমিতের কথায় আজ উঠে আসে সেই প্রসঙ্গ। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করতে মোদী সরকারের পদক্ষেপের কথাও টেনে আনেন অমিত। বলেন, ‘‘ভোট ব্যাঙ্কের লোভে কংগ্রেস ৭০ বছর ধরে কাশ্মীর সমস্যা জিইয়ে রেখেছিল। আর কাশ্মীরকে দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে জুড়তে ও সেখানে উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে নরেন্দ্র মোদী ৩৭০ অনুচ্ছেদ‌ের বিলোপ ঘটিয়েছেন।’’

মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে জাতীয় বিষয়গুলি নিয়ে প্রচার চালিয়েও বিজেপি সে ভাবে সফল হয়নি। তার পরেও ঝাড়খণ্ডে গিয়ে অমিত আজ টেনে আনেন রাম মন্দির, কাশ্মীরের মতো বিষয়গুলিকে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নে মনমোহন সিংহের সরকারের থেকে অনেক বেশি নজর দিয়েছেন মোদী। অমিত বলেন, ‘‘সনিয়া-মনমোহন সরকার ঝাড়খণ্ডের উন্নতির জন্য ৫৫ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা দিয়েছিল। মোদী সরকার দিয়েছে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা।’’

Advertisement

ঝাড়খণ্ডে বিজেপি এ বার একাই লড়ছে। ২০১৪ সালে আজসু-র সঙ্গে জোট গড়ে লড়েছিল তারা। তবে এই ভোটে শরিক দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন