অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
এই নিয়ে তিন দিন। বিরোধীদের বাধায় সংসদে বলতেই পারলেন না অমিত শাহ।
নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বিতর্কের প্রথম দিনে রাজ্যসভায় বিজেপি সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘রাজীব গাঁধীর সময়ে অসমে নাগরিক পঞ্জির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু তা প্রয়োগের সাহস কংগ্রেসের ছিল না, বিজেপির আছে।’’ এর পরেই কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের হট্টগোলে সভা মুলতুবি হয়ে যায়। পরের দিন ফের অমিতকে বলার সুযোগ দেন চেয়ারম্যান। কিন্তু বিরোধীরা বলতে দেয়নি তাঁকে। আজ কৃষকদের সহায়ক মূল্য নিয়ে বলার কথা ছিল অমিতের। কিন্তু ওয়েলে নেমে পড়ে তৃণমূল। গোলমালে সারা দিনের জন্যই মুলতুবি হয়ে যায় সভা।
তৃণমূলের দাবি, নাগরিক পঞ্জি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এখনও রাজ্যসভায় বিবৃতি দেননি। তৃণমূল কৃষক-বিরোধী নয়, কিন্তু প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য চাই। তৃণমূলের সাংসদেরা আজ বলেন, ‘‘এটা সংসদ। এটা বিজেপির পার্টি অফিস নয় যে, শুধু তাদের সভাপতিই বলবেন। তাঁর যদি এতই বলার ইচ্ছে, তা হলে দলের ঝাঁ-চকচকে অফিসটায় গিয়ে বলুন।’’ বিজেপির যুক্তি, অমিতের বক্তৃতা অসমাপ্ত আছে। রাজনাথের আগে তাঁকে কথা শেষ করতে দিতে হবে। বিজেপি সভাপতির কলকাতা সফরের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে। দিল্লি সফরে মমতা যে চড়া সুরটি বেঁধে দিয়েছেন, সেটিই বজায় রাখছেন দলের বাকি সাংসদেরা।
আগামী সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে বাদল অধিবেশন। শেষ দিকে অরুণ জেটলিও এক বার আসতে পারেন সংসদে। আপাতত সংসদ ভবনে জেটলির ঘরেই কিছুটা সময় কাটান অমিত। সঙ্গে থাকেন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও। আজও বলতে না-পেরে জেটলির ঘরে চলে আসেন অমিত। প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে কৃষি মন্ত্রকের দুই প্রতিমন্ত্রীকে পাঠান সাংবাদিক বৈঠকে। জাভড়েকর বলেন, ‘‘আমাদের সভাপতিকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজনাথ তিন দিন ধরে নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তখন বিরোধীরা চিৎকার করছিল, ‘প্রধানমন্ত্রীকে এসে জবাব দিতে হবে।’ আজ অমিত শাহ কৃষি নিয়ে বলতে চেয়েছিলেন, তখনও তৃণমূল বাধা দিল। এতে স্পষ্ট, এঁরা কৃষক-বিরোধী।’’