Amit Shah on SIR

‘অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নিলে দেশের মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না’! মমতার চিঠির পরই এসআইআর নিয়ে তোপ শাহের

অমিত শাহের কথায়, ‘‘কোন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন— তা ঠিক করার দায়িত্ব একমাত্র দেশের নাগরিকদেরই। অনুপ্রবেশকারীদের সেই অধিকার নেই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৪১
Share:

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে এমন কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষেই থাকেন না দেশের নাগরিকেরা! ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) বিরোধিতা করায় বিরোধীদের আবার এক বার আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি টেনে আনেন বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। তাঁর দাবি, বিহারের ফলই প্রমাণ করেছে দেশের মানুষ অনুপ্রবেশ পছন্দ করেন না!

Advertisement

বিহারের পর ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর করার কাজ শুরু করেছে। তার মধ্যে পাঁচ রাজ্য— পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে আগামী বছরই। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এসআইআর করা হচ্ছে। এসআইআরের সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। তবে কেন্দ্রের যুক্তি, ভুয়ো ভোটার ধরার লক্ষ্যেই এসআইআর করা হচ্ছে! যুক্তি, পাল্টা যুক্তিতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিও উঠেছে বিরোধী শিবির থেকে।

এসআইআরের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবারই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পনাহীন ভাবে এসআইআর প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, এটা বিপজ্জনকও বটে। মমতার দাবি, অবিলম্বে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিত করা হোক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে জানিয়েছেন, এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে যথেষ্ট। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কেও অস্পষ্টতা থেকে গিয়েছে। এই প্রক্রিয়া কাঠামোগত ভাবে ত্রুটিপূর্ণ। মমতা মনে করেন, ‘‘বিএলও-দের উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা তাঁদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক।’’ যদিও কমিশন এখনও মমতার চিঠির জবাব দেয়নি। তবে সেই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের এক বার এসআইআরের পক্ষে সওয়াল করলেন।

Advertisement

শুক্রবার গুজরাতের ভুজে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) এক অনুষ্ঠানে গিয়ে শাহ একহাত নিলেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অহরহ কাজ করছে বিএসএফ। ভারতে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা কেবল দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই প্রয়োজন তা নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দূষিত হওয়া থেকে রক্ষার করাও এর উদ্দেশ্য।’’ তাঁর অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক দল সরকারের অনুপ্রবেশ-বিরোধী অভিযানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। শাহের কথায়, ‘‘এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকার শুদ্ধকরণের যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন, তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে তারা (বিরোধী শিবির)।’’

শাহের কথায়, ‘‘কোন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন— তা ঠিক করার দায়িত্ব একমাত্র দেশের নাগরিকদেরই। অনুপ্রবেশকারীদের সেই অধিকার নেই।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, এসআইআর প্রক্রিয়া দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ করবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘যে সব রাজনৈতিক দল এসআইআরের বিরোধিতা করছে, আমি তাদের সতর্ক করতে চাই। ওরা অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে চাইছে। কিন্তু তা হবে না কখনওই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement