শরিকের দরজায় অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
বৈঠকের পর অনেকটা সময় কেটে গেল। কিন্তু, বান্দ্রায় শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতুশ্রীতে গিয়ে ঠিক কী বললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ? তা নিয়ে ধোঁয়াশা কিন্তু কাটছে না।
না কোনও সাংবাদিক সম্মেলন, না কোনও বিবৃতি। তবে, মাতুশ্রীতে বুধবার রাতে দু’দফায় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন আমিত শাহ এবং উদ্ধব। প্রথম দফায় তাঁরা শুধু নিজেদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করেন। এর পরে বৈঠকে যোগ দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং উদ্ধবের ছেলে আদিত্য। বিজেপি-র বক্তব্য, উদ্ধবের মন পাওয়ার চেষ্টায় অনেকটাই সফল হয়েছেন অমিত শাহ। বাকি যেটুকু শরিকি বিবাদ রয়েছে, তা দু’এক দফা বৈঠক করলেই মিটে যাবে।
যদিও উল্টোসুরে শিবসেনার দাবি, এনডিএ-তে শরিকদের অসম্মান করা হয় বারংবার। এখন যেহেতু লোকসভার ভোট এগিয়ে আসছে, তাই শরিকদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে অমিত শাহকে। সূত্রের দাবি, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-র হয়ে যাতে শিবসেনা ভোটে লড়ে সে ব্যাপারে উদ্ধবের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চেয়েছিলেন অমিত। কিন্তু পাকা কথা দেননি শিবসেনা প্রধান।
আরও পড়ুন: রাতেই গভর্নর কোঠিতে ভাগবত, কিন্তু প্রণবের মুখ দেখলেন না কোনও কংগ্রেস নেতা
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে অস্ত্রহীন অভিযানে নামল সেনা, শুরু অপারেশন অল ইন
অবস্থা এখন যে রকম, তাতে শরিকদের সামনে আত্মসমর্পণের সাদা পতাকা উড়িয়েছে বিজেপি। কিন্তু সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি নয় শিবসেনা। এর সঙ্গে অকালি দল, বিহারে নীতীশ কুমার থেকে রামবিলাস পাসোয়ান— সব শরিকদেরই গলা চড়ছে।
উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠকের পরে চণ্ডীগড়ে অকালি-র প্রকাশ সিংহ বাদলের সঙ্গেও দেখা করবেন অমিত শাহ। অন্ধ্রপ্রদেশে এক দিকে চন্দ্রবাবু নায়ডুর মন পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। জগন্মোহন রেড্ডিকেও কাছে টানার চেষ্টা চলছে। বিহারের নীতীশ কুমারের দলও যে ভাবে সুর চড়াচ্ছে, তাতে এনডিএ-র ছন্নছাড়া দশা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এনডিএ সূত্রের খবর, নীতীশের মান ভাঙাতেও খুব দ্রুত এনডিএ-র বৈঠক ডাকবে বিজেপি।