লোকসভা ভোটের পরে পেয়েছিলেন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’-এর শিরোপা। আর হালে নরেন্দ্র মোদী পিঠ চাপড়ে বলেছেন, সবথেকে মেহনতি সভাপতি।
নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহের হাতেই গোটা বিজেপির রাশ। প্রতিপক্ষ দলের সভাপতি রাহুল গাঁধীর উপরে নিরন্তর নজর রাখতে রয়েছে বিজেপির বড় ফৌজ। রাহুল কখন কোথায় কী করছেন, কী বলছেন, সব খবর আসে তাঁর কাছে।
তবু। একটু ফাঁকা পেলে ইদানিং নিজেই দেখছেন রাহুলের বক্তৃতা।
ভোট হোক না হোক, চড়কিবাজির মতো দেশের নানা প্রান্তে দলের কাজে ঘুরে বেড়ান অমিত শাহ। দিল্লিতে থাকলেও একের পর এক বৈঠক করেন। কিন্তু এখন রাহুল গাঁধী টক্কর দিচ্ছেন বিজেপিকে। ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও রাহুলের তোলা অভিযোগ নিয়ে নিরন্তর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
কিন্তু রাহুল কী এমন করছেন? কী-ই বা এমন বলছেন? কৌতূহল থেকেই নিজের কানে তা শুনতে চান অমিত শাহ। ঘনিষ্ঠ মহলে নিজেই জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের ‘ওয়েটিং রুম’-এ বসে রাহুলের দুই একটি বক্তৃতা শুনে ফেলেছেন তিনি। যদিও তার সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘পুরো বক্তৃতা জুড়ে রাহুল শুধুই ‘মোদী-মোদী-মোদী’ করে গিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে না, তিনি বিজেপির প্রচার করছেন না কংগ্রেসের?’’
তবে বিজেপি নেতারা বলছেন, প্রতিপক্ষকে কখনওই খাটো করে দেখা উচিত নয়। এক দলের সভাপতি যদি প্রতিপক্ষ দলের সভাপতির বক্তৃতা শোনেন, তাতে আপত্তি কোথায়? রাহুল কী বলছেন, সেটি জানলে তবেই না তাঁর টক্কর দেওয়া যাবে! রাহুল গাঁধীও নিশ্চয়ই একই কাজ করেন। তা না হলে জানেন কী করে, প্রধানমন্ত্রী কোথায় কী বলছেন?
আর কংগ্রেস বলছে, আগে তো রাহুলকে ‘পাপ্পু’ বলত মোদীর ফৌজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুলের প্রতি বিদ্রূপ ছড়িয়ে দিত। এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উল্টে অমিত শাহের মতো ক্ষমতাবান নেতাকেও অবসর সময়ে রাহুল গাঁধীর বক্তৃতা শুনতে হচ্ছে!
কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘আসলে রাহুলকে ভয় পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। গুজরাতে প্রায় বাজিমাত করে ফেলেছিলেন রাহুল। কর্নাটকে বিজেপিকে মাত দিয়ে সরকার গড়েছেন। একের পর এক উপনির্বাচনে কংগ্রেস জিতছে। আর রাফাল নিয়ে রাহুলের আক্রমণ ঘুম ছুটিয়েছে মোদী-শাহের। খোঁজ নিয়ে দেখুন, শুধু অমিত শাহ নন, নরেন্দ্র মোদীও সাউথ ব্লকে বসে রাহুলের বক্তৃতা শুনছেন!’’