বিয়ের সময়েও বিরলকেশ ছিলেন না অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র
টাকই তাঁর পরিচয়। এবং তিনি চান, টাক দিয়েই চেনা হোক তাঁকে! বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দলের সব রাজ্য সংগঠনকে তাই এ বার পই পই করে সতর্ক করে দিলেন, পোস্টার-ব্যানার বা প্রচারপত্রে তাঁর পুরনো কোনও ছবি যেন ব্যবহার করা না হয়। প্রচারে তাঁর কোনও ছবি যদি ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে দলের ওয়েবসাইট থেকে বেছে নেওয়া যেতে পারে সাম্প্রতিক বিরলকেশ ছবিগুলো!
দলীয় স্তরে এমন নির্দেশ জারি অভিনব বইকি। তাও অমিতের এই ফরমান একেবারেই মৌখিক নয়। এই মর্মে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতির ই-মেল বার্তা দলের সব রাজ্য সভাপতির কাছে পৌঁছেছে। সঙ্গে পাঠানো হয়েছে তাঁর কিছু সাম্প্রতিক ছবিও। যেগুলি রাজ্য সংগঠন চাইলে পোস্টার-ব্যানারে ব্যবহার করতে পারবে।
তবে কৌতূহলের বিষয় হল, কেন এই ফরমান? অমিতের ই-মেল বার্তার কথা জানাজানি হতেই রাজ্য বিজেপি দফতরে শুক্রবার তা অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। পরে বিজেপি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কোনও একটি রাজ্য সংগঠন দলীয় পোস্টারে অমিতের অল্প বয়সের একটি ছবি ছেপেছিল। যে ছবিতে দেখা যায়, অমিতের মাথা তখন এখনকার মতো বিরলকেশ ছিল না। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ওই ছবিটি নিয়ে বিভ্রান্তি ও হাসাহাসি হওয়াতে বিরক্ত হয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন অমিত। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে অমিতেরও ফটোশ্যুট হয়েছে। দলীয় ওয়েবসাইটে ও কেন্দ্রীয় সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ওই নতুন ছবিগুলিই ইদানীং ব্যবহার করা হয়।
বস্তুত অমিতের টাক নিয়ে এই প্রথম আলোচনা হচ্ছে না রাজনীতিতে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর কেন্দ্রীয় একটি তদন্ত এজেন্সি নিরাপত্তার কারণে অমিতের শারীরিক বর্ণনা নথিভুক্ত করতে গিয়ে প্রথমেই লিখেছিলেন, ওঁর মাথায় প্রশস্ত টাক রয়েছে! আবার লোকসভা ভোটের সময় অমিত শাহ যখন উত্তরপ্রদেশে প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন, তখন তাঁকে টাক নিয়ে নিত্য খোঁটা দিতেন সমাজবাদী পার্টি নেতারা। সপা নেতা আজম খান প্রচারে গিয়ে বলতেন, ‘‘যে নিজের চুল বাঁচাতে পারে না, সে দল বাঁচাবে কী ভাবে?’’ তবে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করা ঠিক নয়। পুরনো ছবি ব্যবহার করলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে, তাই সাম্প্রতিক ছবিগুলি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।