শিক্ষালাভই শুধু নয়, ডিগ্রিলাভেও যে বয়স কোনও বাধা হতে পারে না প্রমাণ করে দিলেন গোলাঘাটের যতীন্দ্রনাথ নেওগ। ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসমীয়া ভাষা-সাহিত্যে এমএ পাশ করলেন তিনি। তাঁর বয়স ৭৮!
নিজে সরকারি কর্মী ছিলেন। দফতরও ছিল অপ্রথাগত শিক্ষা বিভাগ। দফতরের প্রকল্প আধিকারিক হিসেবে অবসর নেওয়ার পরে প্রথা ভাঙার কাজে নিজেই হয়ে উঠলেন উদাহরণ। যৌবনে বিএসসি ও বিটি পাশ করেছিলেন। কিন্তু তারপরেই ঢুকে পড়েন চাকরিতে। আর উচ্চতর শিক্ষা চালানো সম্ভব হয়নি।
সন্তানদের মধ্যে দু’জন গোলাঘাট বিএড কলেজের শিক্ষক হয়েছেন। এক জন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। অবসর নেওয়ার পরেও দেরগাঁওয়ে ‘কেরিয়ার কাউন্সেলিং’ সংস্থায় ‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সেলর’ হিসেবে কাজ করছেন নেওগ। সেই সঙ্গে যুক্ত আছেন বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে। অবসরের পরে সময় মেলে। তখনই ভাবেন, অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করে ফেললেই হয়। তাই ডিব্রুগড় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অসমীয়া সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। উৎসাহ পান শিক্ষক, পরিবার সকলের কাছেই। তবে কিছুটা বিশ্বাসঘাতকতা করে চোখের দুর্বল দৃষ্টি। জানুয়ারি মাসে শেষ পরীক্ষার আগে তা আরও ক্ষীণ হয়ে আসে। কিন্তু দমেননি নেওগ। গত সপ্তাহে ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। নেওগের কথায়, ‘‘লক্ষ্য স্থির রেখে সাফল্যের জন্য লড়াই করলে সব বাধাই পার করা সম্ভব।’’