এক দল তরুণ-তরুণীকে নিয়ে নতুন ধারার নাট্য আন্দোলনকে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে ‘আনন্দধারা’ নামে হাইলাকান্দির একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। মঞ্চ বা পথ নাটক ছাড়া নাট্যশিল্পী তৈরীর কর্মশালাও শুরু করেছে আনন্দধারা।
আনন্দধারার যাত্রা শুরু ২০০৭ সালে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিভার বিকাশ ঘটানোই তাঁদের লক্ষ্য— জানিয়েছেন সংগঠনের সভানেত্রী পূরবী মিশ্র। সংগঠনকে সমৃদ্ধ করতে এগিয়ে এসেছেন বদরপুরের থিয়েটার কর্মশালার দুই শিল্পী সুরজিৎ দেব এবং সঞ্জয় সেনগুপ্ত। নাট্য আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা। ওই কর্মশালার কার্যকরী সভাপতি সজয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সুস্থ সুন্দর সমাজ গঠনের হাতিয়ার হতে পারে নাটক।’’ সংগঠনটি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বলে জানান তিনি।
নিয়মিত বরাক উপত্যকায় বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের মঞ্চে নাটক করেন সংগঠনটির শিল্পীরা। ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতার নাট্যরূপ মঞ্চস্থ করা হয়। গত জানুয়ারিতেও হাইলাকান্দির রবীন্দ্রমেলায় মঞ্চস্থ হয় ‘বোধন’ নাটকটি। রচনা করেছিলেন পূরবী নিজেই। আবার ১৯ মে একাদশ ভাষা শহিদ স্মরণে ‘বিপ্লববাদ’ পথ নাটিকা শহরের বিভিন্ন স্থানে উপস্থাপন করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল আনন্দধারা। নাটক ছাড়াও চলছে আবৃত্তি চর্চা।
এক সময় নাটকের ব্যাপক চর্চা হত হাইলাকান্দিতে। বাদল সরকারের মত নাট্যশিল্পী এখানে অভিনয় করে গিয়েছেন। হাইলাকান্দিতে অনেক প্রতিভা আছে, দরকার শুধু খুঁজে বের করে তৈরী করার— বলেন আনন্দধারার আর এক কর্মকর্তা এবং নাট্যকার সুদর্শন ভট্টাচার্য। আনন্দধারাকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন হাইলাকান্দির নাটক পিপাসু মানুষ। আর এই নাট্য আন্দোলনকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন সমাজসেবী প্রীতিকনা পাল, লেখিকা ঋতা চন্দ, ছড়াকার রফি আহমেদ প্রমুখ। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ দেব বলেন, ‘‘নাটকের মাধ্যমে আনন্দদানের পাশাপাশি আমরা সুস্থ সুন্দর সমাজ গঠনের আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।’’