জয়দেব গল্লা। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘হুমকি নয়, অভিশাপ’ দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের টিডিপি সাংসদ জয়দেব গল্লা। অনাস্থা প্রস্তাবের শুরুতেই কোটিপতি সাংসদ বললেন, প্রতিশ্রুতি না রাখলে অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। এটা কোনও ‘হুমকি’ নয়, ‘অভিশাপ’।
শুক্রবার সকালে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা শুরুই হয় জয়দেব গল্লার ভাষণের মধ্যে দিয়ে। যদিও তেলুগু দেশম পার্টির পক্ষে প্রস্তাবক ছিলেন তাঁর দলের সাংসদ কাশিনেনি শ্রীনিবাসন। কিন্তু টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু শুরু করতে বলেন গল্লাকেই। সেই মতো এ দিন শুরুতেই বলতে ওঠেন তিনি। দলের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ১৩ মিনিট। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষের পরেও প্রথম বারের ওই সাংসদ দাবি করেন, তাঁর আরও অন্তত আধ ঘণ্টা লাগবে। সেই আর্জি মঞ্জুরও করেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
এ দিন অন্ধ্রপ্রদেশকে ‘স্পেশ্যাল স্টেটাস’ দেওয়া নিয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন ‘অমর রাজা’ গ্রুপের এমডি গল্লা। তিনি বলেন, ‘‘অন্ধ্রকে বরাবর বঞ্চনা করেছে কেন্দ্র। কংগ্রেস, বিজেপি কেউ প্রতিশ্রুতি রাখেনি। রাজ্যবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আর মোদী সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে তাই নয়, অন্ধ্রবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’’
আরও পড়ুন: লাইভ: ভোটাভুটিতে নেই শিবসেনা, কক্ষত্যাগ বিজেডির, অনাস্থায় সরগরম লোকসভা
শুধু কথার কথাই নয়, বক্তব্যের স্বপক্ষে রীতিমতো তথ্যপ্রমাণও দেখিয়েছেন ৭০০ কোটির মালিক গল্লা। বলেন, ‘‘অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অন্ধ্রের। ঘাড়ে চেপেছে বিপুল অঙ্কের ঋণের বোঝা। আমরা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অন্ধ্রপ্রদেশকে স্পেশ্যাল স্টেটাসের দাবি করে আসছি। কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকি, অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এক পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র।’’
এই প্রসঙ্গেই বিদেশে পড়াশোনা করা গল্লা শুদ্ধ ইংরেজিতে বলেন, ‘‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, আপনি যদি প্রতিশ্রুতি না রাখেন, তা হলে অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। এটা হুমকি নয়, অভিশাপ।’’
আরও পড়ুন: সংখ্যা রাখতে হিমশিম, হাতজোড় করে শরিক ও ‘বন্ধু’ নেতাদের অনুরোধ অমিতের!
গুন্টুরের শিল্পপতি বছর বাহান্নর গল্লা এবারই প্রথম সাংসদ হয়েছেন। ‘অমর রাজা’ গ্রুপের মালিক তিনি। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৮০ কোটি। সংসদে তাঁর হাজিরা ৮৪ শতাংশ।