দুবাইয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
দুবাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক বধূর দেহ। তিনি কেরলের কোল্লামের বাসিন্দা। অতুল্যা নামে ওই তরুণীর পরিবারের দাবি, পণের জন্যই তাদের কন্যাকে খুন করেছেন স্বামী। কেরলের কোল্লামে অভিযোগও দায়ের করেছে তারা। তার পরেই অতুল্যার স্বামী সতীশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
অতুল্যার মা তুলসীবাই থানায় জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে সতীশের সঙ্গে বিয়ে হয় অতুল্যার। বিয়েতে একটি বাইক এবং প্রায় ৩৪ ভরি গয়না দেওয়া হয়েছিল সতীশকে। অভিযোগ, তার পরেও নিগ্রহ থামেনি। বার বার পণ চেয়ে অতুল্যাকে হেনস্থা করেছেন সতীশ। অতুল্যার মায়ের অভিযোগ, ১৮ থেকে ১৯ জুলাই তরুণীর পেটে লাথি মারেন তাঁর স্বামী সতীশ। গলা টিপে দেন। মাথায় প্লেট দিয়েও মারেন। তার জেরেই অতুল্যার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁর মায়ের। ১৯ জুলাই দুবাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অতুল্যার দেহ। তাঁর এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।
অতুল্যার বাবা রাজাশেখরন পিল্লাই জানিয়েছেন, সতীশ নিয়মিত মদ্যপান করতেন। প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন। তাঁর কথায়, ‘‘সতীশ অতুল্যাকে মারধর করেছে জানার পরে কন্যাকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সতীশ ক্ষমা চায়। অতুল্যা ক্ষমা করে দেয়।’’ রাজাশেখরন দাবি করেছেন, ‘‘আমার কন্যা আত্মহত্যা করেনি। শিশুকন্যাকে ও খুব ভালবাসত। কন্যার জন্য সব মুখ বুজে সহ্য করত। ওর মৃত্যু রহস্যজনক।’’ অতুল্যাকে অতীতে তাঁর স্বামীর মারধরের একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করেছে পরিবার। দুবাইয়ে বসে সতীশ দাবি করেছেন, তিনি স্ত্রীকে মারেননি। তবে অতুল্যা আত্মহত্যা করতে পারেন না বলেও দাবি করেন তিনি। সতীশ এই ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন।
দিন কয়েক আগে শারজার বাড়িতে ৩২ বছরের বিপঞ্জিকা মণি এবং তাঁর দেড় বছরের কন্যার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার মায়ের দাবি, পণের জন্য কন্যার উপর অত্যাচার করতেন স্বামী।