মহম্মদ নাভেদের পরে সাজ্জাদ আহমেদ। ধরা পড়ল আরও এক পাক জঙ্গি। বৃহস্পতিবার উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লার পানজাল অঞ্চলে সংঘর্ষের পরে সাজ্জাদ ধরা পড়ে। এই সংঘর্ষে আরও তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতেই এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে সাজ্জাদ (২২) পাকিস্তানের বাসিন্দা এবং সে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।
কাশ্মীরের উরি-র নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে সাজ্জাদ ও তার সঙ্গীরা ভারতে প্রবেশ করে। উরিতেই প্রথমে সেনা তাদের দেখতে পেলেও পাঁচ জনের এই দলটি সেনার চোখে ধুলো দিতে সক্ষম হয়। পরে বুধবার বারামুল্লায় নিয়ন্ত্রণ রেখার থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে একটি গুহার মধ্যে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আবার তাদের দেখতে পাওয়া যায়। সেনা অঞ্চলটি ঘিরে ফেলে। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে সাজ্জাদের চার সঙ্গীর মৃত্যু হয়। ধরা পড়ে যায় সাজ্জাদ।
সাজ্জাদ হাতে আসায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ আরও জোরাল হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। নাভেদ এর মধ্যেই ভারতীয় গোয়েন্দারে অনেক তথ্য দিয়েছে। কী ভাবে তাদের প্রশিক্ষণ শিবিরে স্বয়ং মসুদ আজহার এবং তার ছেলে এসেছিল বলে জানিয়েছিল নাভেদ। যদিও পাকিস্তান এই তথ্য স্বীকার করতে চায়নি। পাক ও ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে সম্প্রতি বাতিল হওয়া বৈঠকে এই বিষয়টি তোলা হতে বলে ভারতের পক্ষ থেকে আভাস দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে সাজ্জাদের জেরা শুরু হয়েছে। তাকে সরাসরি শ্রীনগরের নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে।