Bangladeshi Arrest

বাংলাদেশি পুলিশকর্মীর নেতৃত্বেই কি মেঘালয়ের গ্রামে লুটপাট, মারধর? ধৃত পঞ্চম সন্দেহভাজন

ধৃতদের থেকে বাংলাদেশি পুলিশের একটি পরিচয়পত্র, তিনটি মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন, তিনটি ওয়্যারলেস ফোন, একটি কুড়াল, একটি কাঁটাতার কাটার যন্ত্র, একটি ছোট ছুরি, তিনটি বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশি মুদ্রা এবং ভারতীয় মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে অভিযুক্তদের থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৬
Share:

মেঘালয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত। —প্রতীকী চিত্র।

অস্ত্র নিয়ে মেঘালয়ের গ্রামে ঢুকে হামলার ঘটনায় আরও জোরালো হচ্ছে বাংলাদেশি পুলিশের যোগ। প্রায় ৮-৯ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে মেঘালয়ের গ্রামে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই হামলাকারীদের মধ্যে চার বাংলাদেশিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। রবিবার ওই দলের আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, ওই দুষ্কৃতীদলের মাথায় বাংলাদেশ পুলিশের এক কনস্টেবল রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

Advertisement

গত ৭ অগস্ট মধ্যরাতে সীমান্ত পেরিয়ে মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলায় ঢুকে পড়েছিলেন বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন সশস্ত্র। অভিযোগ, স্থানীয় এক দোকানিকে মারধর করে সেখান থেকে নগদ টাকা এবং মূল্যবান সামগ্রী লুট করে সীমান্তের দিকে পালাচ্ছিলেন দুষ্কৃতীরা। সেই সময়েই নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান এবং গ্রামবাসীরা ধাওয়া করে চার জনকে ধরে ফেলেন। তার পর থেকে বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলার সুপার বি জিরওয়া জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং মেঘালয় পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালায় চিবক অরণ্যে। ওই অভিযানেই ধরা পড়ে যান পঞ্চম অভিযুক্ত। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

ধৃতদের থেকে বাংলাদেশি পুলিশের একটি পরিচয়পত্র, তিনটি মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন, তিনটি অয়্যারলেস ফোন, একটি কুড়াল, একটি কাঁটাতার কাটার যন্ত্র, একটি ছোট ছুরি, তিনটি বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশি মুদ্রা এবং ভারতীয় মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে অভিযুক্তদের থেকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীদলের মাথায় এক বাংলাদেশি কনস্টেবল রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গ্রামবাসী এবং বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে হাতাহাতির সময় তিনি আহত হন বলে খবর। বর্তমানে ওই সন্দেহভাজন বাংলাদেশি কনস্টেবলের চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

গত শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলার নংজরি-নংহিল্লাম সেক্টরের অন্তর্গত রংডোঙ্গাই গ্রামের ওই ঘটনার পর থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিএসএফ। সীমান্ত লাগায়ো গ্রামগুলিতে আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে স্থানীয় পুলিশও। একই সঙ্গে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement