গুয়াহাটি বিস্ফোরণে ধৃত আরও ২

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুয়াহাটির খ্রিস্টান বস্তির বাসিন্দা চিন্ময় লহকর ও নগাঁওয়ের যুবক ইন্দ্রমোহন বরা ধৃত জাহ্নবী শইকিয়ার বাড়িতে ঘাঁটি গাড়ে। সেখান থেকেই তারা জু রোডে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ০২:২৪
Share:

ছবি: পিটিআই।

গুয়াহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ডে আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিজয় নামে যে আলফা জঙ্গি গ্রেনেড ছুড়েছিল, তাকে সাহায্য করা ও পালানোয় সাহায্য করার অভিযোগে নগাঁও ও গুয়াহাটি থেকে এই দু’জনকে ধরা হয়েছে। তাদের একজনের বাবা পুলিশকর্মী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুয়াহাটির খ্রিস্টান বস্তির বাসিন্দা চিন্ময় লহকর ও নগাঁওয়ের যুবক ইন্দ্রমোহন বরা ধৃত জাহ্নবী শইকিয়ার বাড়িতে ঘাঁটি গাড়ে। সেখান থেকেই তারা জু রোডে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছিল। ঘটনার দিন চিন্ময়ের মোটরবাইকের পিছনে বসে বিজয় গ্রেনেড ছোড়ে। পরে ইন্দ্রমোহন বিজয়কে গোলাঘাট পৌঁছে দেয়। আজ নগাঁওয়ের বাড়ি থেকে ধৃত ইন্দ্রমোহনকে গুয়াহাটি আনা হয়। বিস্ফোরক সরবরাহ করার অভিযোগে গোলাঘাট থেকে ধৃত অমৃতবল্লভ গোস্বামীকেও গুয়াহাটি আনা হয়েছে। ইন্দ্রমোহনের মা ভারতী বরার দাবি, ‘‘আমার ছেলে নির্দোষ। ঘটনার দিন ইন্দ্র নগাঁওয়ের একটি বিয়েবাড়িতে ছিল। পুলিশের ভুল হচ্ছে। ইন্দ্রকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।’’ তাঁর বাবা রেবকান্ত বরা পুলিশের সীমান্ত শাখার কনস্টেবল। তিনি বলেন, ‘‘দোষ প্রমাণ হলে ছেলেকে যা শাস্তি দেওয়া হবে আমরা মেনে নেব।’’ তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘‘বাড়িতে বেশি কথা বলত না ইন্দ্র। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে প্রায়ই বলত, আলফায় যোগ দেব।’’

এসপি শঙ্করব্রত রাইমেধি জানান, ইন্দ্র চলতি বছর জানুয়ারিতে আলফায় যোগ দেয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আলফা সদস্য প্রাণময় রাজগুরু ও জাহ্নবী শইকিয়াকে ইতিমধ্যে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এ দিকে আলফা স্বাধীনের সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিস্ফোরণের নিশানা সাধারণ নাগরিক বা অসম পুলিশ ছিল না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই নিশানা করা হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement