বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বিগড়ে দিতে ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে সমাজবিরোধীরা। তারাই পড়ুয়াদের মধ্যে মিশে গিয়ে গন্ডগোল করেছে। আজ এই দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন বিএইচইউ-এর নিয়মশৃঙ্খলা বিভাগের প্রধান আধিকারিক ও এন সিংহ। উপাচার্য দিল্লি থেকে ফেরার পরেই তাঁর হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি।
বিএইচএউ-এ ছাত্রীদের উপর পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি। যোগী সরকারের পুলিশ ছাত্রীদের লাঠিপেটা করলেও ওই ঘটনার পরে রাহুল গাঁধী থেকে শুরু করে অন্য বিরোধী নেতারা নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রীকেই। সমালোচনার মুখে গোটা ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী টেলিফোন করেছিলেন যোগীকে। কিন্তু তার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিরিশচন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বারাণসী সফরের ঠিক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলমাল করার যড়যন্ত্র করেছে বহিরাগতরা। পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তারাই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পেট্রোল বোমা, পাথর ছুড়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মঙ্গলবার সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্বও সেই সুরেই সুর মেলায়। আর আজ মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথও সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকেই সামনে নিয়ে এলেন।
গোরক্ষপুরে যোগী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিএইচইউ-এর ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট পেয়েছি। পড়ুয়াদের যাতে হেনস্থা না হতে হয়, সে জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি কী ভাবে ঘটল, তার গভীরে যাওয়া দরকার। আর যে সমাজবিরোধীরা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলল, তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে।’’ যোগীর মন্তব্য, ‘‘প্রাথমিক রিপোর্টে দেখতে পাচ্ছি, গোটা ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে সমাজবিরোধীরা।’’ বিএইচইউ-এর ঘটনা থেকে সতর্ক হয়ে এমন পরিস্থিতি আটকাতে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কথা বলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রাখতে উপাচার্য ও পড়ুয়াদের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি।’’