Anubrata Mondal

সুরাহা লতিফের, স্বস্তি নেই কেষ্টর

সিবিআই অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পরেই গরু পাচারের তদন্তে লতিফের নাম উঠে এসেছিল। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, লতিফ বীরভূমের ইলামবাজার পশুহাট থেকে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:০১
Share:

তৃণমূল নেতা অনুব্রত এখন তিহাড় জেলে। ফাইল চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি হাই কোর্টে আপাতত সুরাহা না পেলেও সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা স্বস্তি পেলেন গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ আব্দুল লতিফ। আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদালত লতিফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট আজ ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা থেকে লতিফকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তবে একইসঙ্গে লতিফকে সিবিআইয়ের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশও দিয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে শুনানি। শুনানির দিন সেখানেও লতিফকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত এখন তিহাড় জেলে। দিল্লিতে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনুব্রত তাঁকে ফের আসানসোল জেলে ফেরত পাঠানোর আর্জি জানিয়েছিলেন রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে। সেই মামলার শুনানি ৮ মে হওয়ার কথা। অনুব্রতের আইনজীবী এন হরিহরণ আজ দিল্লি হাই কোর্টে আর্জি জানান, হাই কোর্ট যেন রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দেয়। বিনা প্রয়োজনে অনুব্রতকে দিল্লিতে রাখা হয়েছে। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা জানিয়ে দেন, তিনি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টেই আর্জি জানাতে হবে। হরিহরণ বারবার অনুরোধ করায় বিচারপতি বলেন, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আর্জি জানানো হলে আদালত আইনমাফিক দ্রুত আর্জি শুনবে।

সিবিআই অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পরেই গরু পাচারের তদন্তে লতিফের নাম উঠে এসেছিল। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, লতিফ বীরভূমের ইলামবাজার পশুহাট থেকে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হলেও লতিফ হাজিরা দেননি। আসানসোল আদালতে সিবিআইয়ের চার্জশিটে লতিফের নাম ছিল। তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সম্প্রতি কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-র খুনের মামলায় লতিফের নাম উঠে এসেছিল। ইডি লতিফকে সমনও পাঠিয়েছিল।

Advertisement

লতিফের হয়ে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা আজ সুপ্রিম কোর্টে জানান, লতিফ সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। তা সত্ত্বেও তাঁর নাম চার্জশিটে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ লতিফকে সিবিআইয়ের সামনে ও ২৭ এপ্রিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গোটা বিষয়ে সিবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। এক সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন