National News

সেতু ভেঙে চোখের সামনে তলিয়ে গেল দু’জন, ভিডিও ভাইরাল

চোখের নিমেষেই সেতুর নীচের অংশ পুরো ধসে বেরিয়ে যায়। দেখা যায়, শুধু রাস্তার পাতলা প্রলেপটা বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

পটনা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ১৪:৩২
Share:

সেতু ভেঙে যাওয়ার আগের মুহূর্তের দৃশ্য। ছবি: ইউটিউব।

বিহারের আরারিয়া জেলায় সেতু ভেঙে তলিয়ে গেল তিন জন। ভয়ানক সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সেই ভিডিওই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত অসম, বিহারে নামল সেনা

আরও পড়ুন: উপর নীচে জলের চাপে রাজ্যে বাড়ছে বন্যা

Advertisement

ঘটনা আরারিয়া জেলার বাহাদুরগঞ্জের। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাহাদুরগঞ্জের ওই সেতুর নীচ দিয়ে প্রবল গতিতে জল বয়ে যাচ্ছে। জলের তোড়ে একের পর এক গাছ উপড়ে দিচ্ছিল। সেই দৃশ্য দেখতেই সেতুর উপর হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। হঠাত্ই জলের তোড়ে সেতুর এক দিকের মাটি ধসে যায়। হু হু করে জল বইছিল। চোখের নিমেষেই সেতুর নীচের অংশ পুরো ধসে বেরিয়ে যায়। দেখা যায়, শুধু রাস্তার পাতলা প্রলেপটা বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে। তার মধ্যে দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু মানুষকে সেতুর এপার ও পার করতে দেখা যায়। কয়েক জন পার হয়েও যান। রাস্তার প্রলেপটাকে ধরে রাখার শেষ অবলম্বনটুকুও জলের তোড়ে ভেসে যায়। সেতু পারাপার করা মানুষগুলোর সে দিকে খেয়ালই ছিল না।

দেখুন সেই ভয়ানক ভিডিও

এ রকম ঝুঁকি নিয়ে এক মহিলা, পুরুষ ও বাচ্চাকে পার হতে দেখা যায়। কিন্তু তাঁদের ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। সবে মাত্র সেতুর ওপারে পা দিয়েছেন তাঁরা, তখনই পুরো রাস্তাটা তাঁদের নিয়ে ধসে পড়ে। তিন জনের মধ্যে মহিলা ও বাচ্চাটি জলের তোড়ে ভেসে যায়। বেশ কিছু ক্ষণ ভেসে থাকতে দেখা যায় ওই মহিলা ও বাচ্চাটিকে। জলের এত টান ছিল যে পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কেউই মহিলা ও বাচ্চাটিকে বাঁচানোর ঝুঁকিটুকুও নিতে চাননি। সবার চোখের সামনে তলিয়ে যায় ওই দু’জন। ভয়ানক সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

বিহারে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের ১৬টি জেলার ৯৮ লক্ষ মানুষ। বন্যায় সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১৬ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে আরারিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন