Ram Janmabhoomi

‘রামের গ্রামে’ খোঁড়াখুঁড়ি

কবি ভাণুভক্তের জন্মদিনের একটি অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রসঙ্গ তুলে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, রাম আদতে নেপালি ছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাঠমান্ডু শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ০৫:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি বলার পরে দক্ষিণ নেপালের বীরগঞ্জের একটি গ্রামে রামের সম্ভাব্য জন্মস্থানের খোঁজে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করছে সে দেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগ। বিভাগের মুখপাত্র রামবাহাদুর কুঁয়ার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে তাঁরা ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলার পরে তার সত্যাসত্য অনুসন্ধান নিজের কর্তব্য বলে মনে করে নেপালের পুরাতত্ব বিভাগ।

Advertisement

কবি ভাণুভক্তের জন্মদিনের একটি অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রসঙ্গ তুলে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, রাম আদতে নেপালি ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা নয়, তাঁর আসল জন্মস্থান বীরগঞ্জের তোহরি নামে একটি ছোট গ্রামে। অনেক কিছুর মতো রামকেও নেপালিদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওলির এই মন্তব্যের পরে ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা খেপে ওঠেন। বিজেপি কঠোর সমালোচনা করে ওলির। নেপালে ওলির নিজের দল ও বিরোধী দলের নেতারাও বলেন— প্রধানমন্ত্রীর এমন হাল্কা মন্তব্য করা অনুচিত, যা দু’দেশের সম্পর্ককে উত্তপ্ত করে তোলে। এই মন্তব্যের পরে উত্তরপ্রদেশে এক নেপালি নাগরিককে কিছু হিন্দুত্ববাদী দুষ্কৃতী মারধর করে মাথা নেড়া করে দেয়। তার আগে ওলির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও বাধ্য করা হয়। ওলিকে হুমকি দিয়ে বারাণসীতে বেশ কিছু পোস্টার মারে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। নয়াদিল্লিতে নেপালের রাষ্ট্রদূত নীলাম্বর আচার্য শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যেই ওলির প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির স্থায়ী কমিটি এ দিনের বৈঠক রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন