পাকিস্তানের পাল্টা হানার মোকাবিলার জন্য কতটা তৈরি রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা, তা খতিয়ে দেখতে শনিবার শ্রীনগরে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল দলবীর সিংহ। গত বুধবার ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র পর এই প্রথম কাশ্মীরে গেলেন ভারতের সেনাপ্রধান। চার দিনের মাথায় আজই কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে কাশ্মীরে। যদিও সন্ত্রাসবাদীদের চোরাগোপ্তা হামলার ভয়ে উপত্যকার পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই থমথমে। রাস্তাঘাটও অন্য অনেক দিনের চেয়ে অনেকটাই ফাঁকা। ও দিকে, কাশ্মীরের আখনুর তহশিলে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনাছাউনি আর বসতি এলাকাগুলি লক্ষ্য করে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মর্টার বোমা ছোঁড়ে পাক সেনা। ভারী মেশিনগান থেকে চালানো হয় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও। পাল্টা গুলি চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। তাতে অবশ্য কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখার এ পারে মোতায়েন ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্ভাব্য হানাদারি মোকাবিলার জন্য কতটা প্রস্তুত, অস্ত্রশস্ত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে সেখানে মজুত রয়েছে কি না, তার খোঁজখবর নিতে এ দিন দিনভর সেনাকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় প্রায় ঘণ্টা তিনেকের বৈঠক করেছেন সেনাপ্রধান। যে সব সেনা অফিসার ও জওয়ান অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই এ দিন দেখা করেছেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানে গণতন্ত্রের ভিতই তৈরি হয়নি: মুশারফ